সাতটা নয়, রাত দশটায় পর্যন্ত চলবে লোকাল ট্রেন৷ গতকালের নির্দেশ সংশোধন করে আজ নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার৷ রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, রাত দশটাতেই প্রান্তিক স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়বে৷ আজ থেকেই এই নির্দেশিকা কার্যকর করা হবে৷ তবে পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর নির্দেশ অপরিবর্তিত রয়েছে৷ গতকাল রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, সন্ধে সাতটা পর্যন্ত পঞ্চাশ শতাংশ লোকাল ট্রেন চালানো হবে৷ রাজ্যের এই নির্দেশ নিয়ে একদিকে যেমন নিত্যযাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল, তেমন বিভ্রান্তিও ছড়ায়৷কারণ রাজ্যের এই নির্দেশ মানতে গিয়ে দুই নিয়ম চালু করে পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্ব রেল৷ পূর্ব রেল জানিয়েছিল, সব স্টেশন থেকে সন্ধে সাতটায় ছাড়বে শেষ লোকাল৷ কিন্তু দক্ষিণ পূর্ব রেল সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের শাখার সব লোকাল ট্রেনের যাত্রাই শেষ হবে সন্ধে সাতটা বা তার আগে৷এই নিয়ে এ দিন বিকেলে হাওড়া স্টেশনে যাত্রী বিক্ষোভও শুরু হয়৷ তার কিছুক্ষণের মধ্যেই নতুন নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সরকার৷ বিভ্রান্তি কাটাতে নতুন নির্দেশিকায় স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাত দশটায় শিয়ালদহ, হাওড়ার মতো প্রান্তিক স্টেশনগুলি থেকে ছাড়বে লোকাল ট্রেন৷ উল্লেখ্য, তবে রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশ জারি করা হলেও এ দিন সকাল থেকে সব লোকাল ট্রেনেই প্রতিদিনের মতো উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়েছে৷ মানা হয়নি শারীরিক দূরত্ব বিধিও৷ সন্ধে হতেই সাতটার মধ্যে ট্রেন পেতে স্টেশন চত্বরে উপচে পড়ে নিত্যযাত্রীদের ভিড়। দমদম থেকে লিলুয়া, বেলঘড়িয়া থেকে বরানগর- সর্বত্র একই ছবি। এমনকী এদিন ভিড়ের ধাক্কায় চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গুরুতর আহতও হন এক মহিলা যাত্রী। হাওড়া স্টেশনে ট্রেন ধরতে যাওয়া অনেক যাত্রীর অভিযোগ, এদিন সন্ধে ৭টা বলে তার আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয় পরিষেবা। ফলে কাজ শেষে বাড়ি ফিরতে গিয়ে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হতে হয় তাঁদের। শুরু হয়ে যায় তুমুল যাত্রীবিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত বদলানোর চিন্তাভাবনা শুরু হয় নবান্নে। খানিক পরেই জানানো হয়, ৭টার পরেও চলবে ট্রেন। রাত ১০টা পর্যন্ত মিলবে পরিষেবা।