বহুদিন ধরে প্রেমের গুঞ্জনে থাকার পর ২০২৩-এ সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন বলি-টলি সেলেবদের। কেউ করলেন এলাহী বিয়ে, তো কেউ করলেন ছিমছাম, আবার কেউ বা বিয়ে সারলেন এক্কেবারে ছুপিসারে। আসুন দেখে নেওয়া যাক চলতি বছরে চার হাত এক হল কাদের-
স্বরা ভাস্কর– ফাহাদ আহমদ
স্বরা ভাস্কর ও ফাহাদ আহমদের স্পেশ্যাল অ্য়াক্টে রেজিস্ট্রার হয় জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ। ১৬ তারিখ বিয়ে সারেন স্বরা। একেবারেই নিকট আত্মীয়দের উপস্থিতিতে চার হাত এক হয় স্বরা ও ফাহাদের। এখন তো তাঁদের সংসারে এসেছে নতুন সদস্য। ২৩ সেপ্টেম্বর অভিনেত্রীর কোলজুড়ে এসেছে ফুটফুটে কন্যা সন্তান। ফাহাদ ও তাঁর পছন্দেই মেয়ের নাম রাবেয়া রাখা হয়েছে।
কে এল রাহুল– আথিয়া শেট্টি
২৩ জানুয়ারি সাত পাকে বাঁধা পড়লেন আথিয়া শেট্টি ও কে এল রাহুল। সুনীল শেট্টির খান্ডালার বাংলো জাঁহাতেই রাহুলের গলায় মালা দিলেন আথিয়া শেট্টি। ২০১৯ সালে একে অপরকে মন দিয়ে ফেলেছিলেন রাহুল ও আথিয়া। নিজেরা কখনও ভালবাসার কথা স্বীকার না করলেও তাঁদের ডেটিংয়ের নানা ছবি প্রকাশ্যে আসে। তার পরেই ছিমছাম অনুষ্ঠানে বিয়ে সারলেন রাহুল ও আথিয়া।
কিয়ারা আডবাণী– সিদ্ধার্থ মালহোত্রা
৭ ফেব্রুয়ারি জয়সলমেরের সূর্যগড় প্যালেসে চার হাত এক হয় সিদ্ধার্থ মালহোত্রা আর কিয়ারা আডবাণীর। সিনেপর্দার শেরশাহ জুটি, বাস্তবে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন। এলাহী বিয়ের অনুষ্ঠান যেন রূপকথা। হালকা গোলাপি রঙের লেহেঙ্গা পরে বধূবেশ ধারণ করেছিলেন কিয়ারা। সিদ্ধার্থের পরনে ছিল ক্রিম রঙের শেরওয়ানি। ভালবাসার চুম্বনেই অঙ্গীকারবদ্ধ হন দু’জন।
প্রীতম কোটাল–সুনেলা পাল
১৭ এপ্রিল। অবশেষে এসেছিল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সাত পাকে বাঁধা পড়লেন মোহনবাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটাল। বালি গার্ডেনে গঙ্গার ধারে বসে ছিল বিয়ের আসর। পাত্রীটির সঙ্গে আগেই সমর্থকদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন খোদ প্রীতম। চলতি বছর আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই প্রেমিকা সোনেলা পালকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রীতম। মাঠে হাঁটু গেড়ে বসে আংটি হাতে সোনেলার সঙ্গে নতুন জীবন কাটানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন বাগান অধিনায়ক। যাতে হাসি মুখে রাজি হয়ে যান প্রেমিকাও। তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল সেই ভিডিও। প্রীতমের হবু স্ত্রীর পরিচয় জেনেছিলেন সকলে। এপ্রিল মাসে তাঁর সঙ্গেই সাত পাকে বাঁধা পড়লেন ভারতীয় ফুটবলার।
মিষ্টি সিং– রেমো দাস
১৮ মে বাইপাস সংলগ্ন এক বিলাসবহুল হোটেলে বিয়ের আসর বসেছিল মিষ্টির। পাত্র রেমো রিয়েল এস্টেস্টের ব্যবসার সঙ্গে সঙ্গে প্রযোজনা সংস্থাও রয়েছে। বিয়ের কয়েক দিন পর হানিমুনে ইউরোপ ট্রিপেও গিয়েছিলেন মিষ্টি ও রেমো। মিষ্টি ও রেমোর এখন সুখের সংসার।
পরিণীতি চোপড়া- রাঘব চাড্ডা
অবশেষে ভালোবেসে শুভ পরিণয়। ২৪ সেপ্টেম্বর পরিবার-পরিজন, ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাক্ষী রেখেই চার হাত এক হয় রাঘব চাড্ডা ও পরিণীতি চোপড়ার। উদয়পুরের তাজ প্যালেসে পাঞ্জাবি রীতি মেনে মনের মানুষ রাঘবের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন পরিণীতি। মনীশের ব্রাইডাল লেহেঙ্গাতেই সেজেছিলেন পরিণীতি। বিয়ের পর জুটিকে ‘রাঘনীতি’ নামেই ডাকতে শুরু করল অনুরাগীরা।
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় – পিয়া চক্রবর্তী
২৭ নভেম্বর চুপিসারেই বিয়ে সেরে ফেললেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তী। সমাজকর্মী পিয়া, পরমের ঘরনি হওয়ায় হইচই পড়ে যায় টলিপাড়ায়। সোশাল মিডিয়ায় জুড়ে তুমি অন্য কারও সঙ্গে বেঁধো গানের ব্যবহার করে পরম-পিয়া-অনুপমকে ঘিরে ট্রোল। তবে এসব বিতর্ককে পাশে রেখে পরম-পিয়া দিব্যি রয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর টলিউড ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুদের নিয়ে পার্টিও করলেন পরম-পিয়া।
রণদীপ হুড্ডা-লিন লাইশরাম
২৯ নভেম্বর মণিপুরের মডেল লিন লাইশরামের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন বলিউড অভিনেতা রণদীপ হুদা। ৪৭ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন এই অভিনেতা। লিনের শহর ইম্ফলে মণিপুরি রীতি মেনেই সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন তাঁরা।
সন্দীপ্তা–সৌম্য
৭ ডিসেম্বর বহুদিনের প্রেমিক সৌম্যর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন সন্দীপ্তা সেন। বৈদিক মতেই বিয়ে হয় সন্দীপ্তা ও সৌম্যর। মেজেন্টা রঙের বেনারসি পড়েই বিয়ে সারেন সন্দীপ্তা। সৌম্যর পোশাকেও গোলাপি রঙের ছোঁয়া।
দর্শনা–সৌরভ
১৫ ডিসেম্বর সাত পাকে বাঁধা পড়েন দর্শনা বণিক ও সৌরভ দাস। শেষমেশ, বউ ঘরে তুলল টলিউডের মন্টু পাইলট। ভিন্টেজ রোলস রয়্যালসে চেপে বউকে নিয়ে বাড়ি গেলেন সৌরভ। গোটা শহর দেখল সেই দৃশ্য। বিয়ের অনুষ্ঠানেও এলাহী আয়োজন।