দেশের একাধিক রাজ্যে শুরু হয়েছে শীতের প্রবেশ। এরইমধ্যে আবহাওয়ার তুমুল রদবদল জারি দেশ জুড়ে। তখন অন্যদিকে ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রপাতের চরম কোপ দক্ষিণ ভারত এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপের জেরে একাধিক শহরে শুরু হয়ে গিয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টি। ২৪ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত অনেক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং বিচ্ছিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, অসম, মেঘালয়, তামিলনাড়ু, কেরল এবং পুদুচেরির মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলি এর জেরে বিশেষভাবে প্রভাবিত হবে বলে আশঙ্কা। ২৫ এবং ২৬ নভেম্বর কেরল, মাহে, উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ইয়ানামে বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ২২ নভেম্বর মেঘালয়ের কিছু জায়গায় শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসঙ্গে কুয়াশাও থাকবে। গভীর রাত ও সকালে উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়ে ২৪ থেকে ২৫ নভেম্বর, উত্তরাখণ্ডে ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর এবং হিমাচল প্রদেশে ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত কুয়াশা থাকবে। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশে সকাল ও সন্ধ্যায় ঘন কুয়াশা থাকবে। দিনের বেলা রোদ থাকবে, তবে তাপমাত্রা কমার কারণে মূলত ঠান্ডা অনুভূত হবে। দিল্লি-এনসিআর-এ বায়ু দূষণ কমতে শুরু করেছে এবং সকাল-সন্ধ্যায় হালকা কুয়াশা দেখা দিতে শুরু করেছে। সামগ্রিকভাবে বাংলায় রাজ্য জুড়ে আগামী কদিন শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। গোটা নভেম্বর জুড়েই মনোরম আবহাওয়া থাকবে, তবে আলিপুর জানাচ্ছে ডিসেম্বরের আগে জাঁকিয়ে শীত নয়।