ভবানীপুরে উপনির্বাচনে ভোটপর্ব শান্তিপূর্ণভাবে চললেও বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা একধিক অভিযোগ তুলছেন। তাঁর নিশানায় এবার রয়েছেন মদন মিত্র। তিনি নাকি নিজের এলাকার বুথ দখল কর রেখেছেন, তাই ভোট শুরু করা যায়নি। এই অভিযোগ ফুত্কারে উড়িয়ে দিয়ে কামারহাটির বিধায়কের দাবি, ‘আসলে আমাকে খুব পছন্দ হয়েছে প্রিয়াঙ্কার। সরাসরি আমার নাম নিতে লজ্জা হচ্ছে বলে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।’ বৃহস্পতিবার সকালে ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল অভিযোগ তোলেন, ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের ১২৬ নম্বর বুথে ভোট শুরু করা যায়নি। যেহেতু এই এলাকা মদন মিত্রের। তাই তিনি বুথ দখল করতে চাইছেন।’ যদিও নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রিয়াঙ্কার এই দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, মকপোলের জন্য ভবানীপুরের ১২৬ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণ শুরু করতে দেরি হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে মদন মিত্রের বক্তব্য, ‘যখন বিজেপি প্রার্থী এই অভিযোগ তুলেছেন, সেই সময় দলের নির্দেশ মতো বাড়িতেই ছিলাম। একটা বই পড়ছিলাম। অনেক পরে দলের নির্দেশেই বাড়ি থেকে বের হই।’ শুধু এই জবাব দিয়েই থেমে থাকেননি। অনেকটা কটাক্ষের সুরে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে আক্রমণ শাণালেন মমতার ‘কালারফুল বয়’। তাঁর মন্তব্য, ‘একুশের নির্বাচনে তিনি যত ভোটে হেরেছিলেন তার থেকে তিনগুণ বেশি ভোটে ভবানীপুরে হারবেন। ভবানীপুর উপনির্বাচনে রেকর্ড তৈরি হয়েছে। কোথাও কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। এবার তিনি যেভাবে হারবেন, আগামী ১০ বছর আর কোনও ভোটে লড়বেন না।’ বার বার তাঁর নাম নেওয়ার জন্য ‘বাংলার ক্রাশ’ মদন বলেন, ‘মনে হয় ওঁর আমাকে খুব পছন্দ। তাই বারবার আমার নাম বলেন। সরাসরি বলতে পারেন না। তাই অভিযোগ তুলে বলেন।’ প্রসঙ্গত, ভোটের দিন সকালেই ৭২ নম্বর বুথে মদনের বিরুদ্ধে ভোটের মেশিন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন প্রিয়াঙ্কা। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা প্রিয়াঙ্কাকে নিশানা করেছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘খুব সুন্দর ভোট হচ্ছে। মানুষ ভোট দিচ্ছেন। আমাদের এজেন্ট সব বসে গিয়েছে। ওরা অনেক জায়গায় এজেন্ট দিতে পারেনি। একটু পর বলবে বসতে দেওয়া হয়নি। কোথাও কোনও বুথ জ্যাম হয়নি।’ যদিও এরই সঙ্গে অবৈধ জমায়েত-সহ আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ তুলেছেন প্রিয়াঙ্কা।