হুগলির ভদ্রেশ্বরের শ্যামনগর নর্থ জুটমিলে বিধ্বংসী আগুন৷ মঙ্গলবার সকাল 8টা নাগাদ 4 নম্বর গোডাউনে আগুন লাগে ৷ ভস্মীভূত হয়ে যায় গোডাউনের সমস্ত পাট ৷ আগুন নেভাতে পৌঁছায় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ৷ এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে বলে খবর ৷ এই ঘটনায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ সূত্রের খবর, হঠাৎ শ্রমিকরা জুটমিলে আগুন দেখতে পান ৷ দমকল বাহিনীর কর্মীরা এবং শ্রমিকরা মিলে আগুন নেভানোর কাজ চালায় ৷ তবে কী কারণে এই আগুন লাগল ? তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি ৷ এই ভয়াবহ আগুনে হতাহতের কোনও খবর এখনও পাওয়া যায়নি ৷ এই ঘটনার পর শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য জুটমিলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকালে আগুন লাগার খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দমকলের ইঞ্জিন কাজ শুরু করে দেয় ৷ নিরাপত্তার কারণে ওই গোডাউনের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ কীভাবে আগুন লাগল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ৷ জুটমিল কর্তৃপক্ষের তরফে আরপি সাউ বলেন, “সকালে আগুন লেগেছিল ৷ বিপুল টাকার পাট পুড়ে গিয়েছে ৷ তবে এখনই কত টাকার ক্ষতি হয়েছে, তা বলা যাবে না ৷ কী কারণে আগুন লাগল, তাও বোঝা যাচ্ছে না ৷ জুটমিলে জলের ব্যবস্থা আছে ৷ সেখান থেকেই দমকল জল নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করেছে ৷” সিআইটিইউ নেতা হীরালাল সিংহ বলেন, “আগুন লাগার পর নেভানোর কাজ শুরু হয়েছে ৷ এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে ৷ একজন শ্রমিক সামান্য আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি ৷ আমাদের চটকল মজদুর ইউনিয়নের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও জুটমিলের ক্ষয়ক্ষতির জন্য আন্দোলন করেছিলাম ৷ এমনিতেই জুটমিলের ম্যাজেমেন্টের চূড়ান্ত গাফিলতি রয়েছে ৷ সেই কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বিভিন্ন জুটমিলে ৷” ভদ্রেশ্বর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর প্রকাশ সাউ বলেন, “আগুন লেগেছিল ৷ আমরা ম্যাজেমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও তা সম্পূর্ণ নেভেনি ৷ গোডাউন যেহেতু এক পাশে রয়েছে ৷ সেই কারণে জুটমিলের কাজ থমকে যায়নি ৷”