রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন তিনি। বুধবার রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা করতে নবান্ন সভাঘরে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এই বৈঠকে যেমন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন । উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম, বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির সুপার ৷ ছিলেন বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক এবং সিএমওএইচরা। এই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছেন । একই সঙ্গে তিনি বলেন, “করোনা নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও দরকার নেই । রাজ্য সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে । সব ধরনের পরিকাঠামোই প্রস্তুত রাখা হয়েছে । সামনে যদি চতুর্থ ওয়েভ আসেও, চিন্তা করার দরকার নেই ।” এদিন টিকাকরণ নিয়ে কয়েকটি জেলার পারফরম্যান্স সম্পর্কে সমালোচনা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় । বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, মালদা ও হাওড়ার মত জেলাগুলিতে কেন প্রথম ডোজের পরিমাণ কম হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি । দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রেও মালদা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, জলপাইগুড়ি ও ঝাড়গ্রামের পারফরম্যান্স আশাপ্রদ নয় । এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে টিকাকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র । যে যে জেলাগুলিতে এই টিকাকরণ ঠিকমত হয়নি সেখানে টিকাকরণ সম্পূর্ণ করার ওপর জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । এদিন এই বৈঠকে রাজ্যের ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন মমতা । এই সময়টা ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া নিয়ে সতর্ক হওয়ার সময় । আর সে কারণেই পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর এবং পঞ্চায়েতগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে । গত দু’বছরে যেভাবে নিরবিচ্ছিন্নভাবে মশা বাহিত রোগের বিরুদ্ধে প্রচার এবং কাজকর্ম করা হয়েছে এবছর সেই কাজে জোর দিতে বলা হয়েছে । তবে রাজ্য ম্যালেরিয়া নির্মূলের ক্ষেত্রে যে ভালো ভূমিকা পালন করছে সে বিষয়ে জানাতে ভোলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে এদিনের বৈঠক থেকে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক এবং সিএমওএইচদের হাসপাতালে ভিজিট করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা ।