জেলা

আইনটা পড়েছি, যাবজ্জীবনে প্যারোলে বেরিয়ে যায়! ফাঁসির পক্ষে ফের সওয়াল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

আরজি কর কাণ্ডে অপরাধী সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণার পরদিনও বিচারকের রায় নিয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মঙ্গলবার মালদা জেলা ক্রীড়া সংস্থার ময়দানে সরকারি সভা থেকেও এই রায়ের তীব্র বিরোধিতা করেছেন তিনি ৷ মনে করিয়ে দিয়েছেন, তিনি নিজেও একজন আইনজীবী ৷ ফলে আইন তিনিও জানেন ৷ এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি দাবি করেন, রাজ্যের অপরাজিতা বিল গোটা দেশে মডেল করা হোক ৷ এদিন বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে সভাস্থলে প্রবেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে সঞ্জয় রায়ের সাজা প্রসঙ্গ ৷ আরজি কর ইস্যুতে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি বলেছিলাম, আমরা ফাঁসি চাই ৷ যারা এত পৈশাচিক অত্যাচার করে, যদি কেউ দানবিক হয়, যদি কেউ পাশবিক হয়, তাহলে সমাজ কি মানবিক হতে পারে ? সমাজকে মানবিক করতে হবে ৷ মা-বোনদের সম্মানের স্বার্থে আমরা অপরাজিতা বিল পাশ করেছি অ্যাসেম্বলিতে ৷ আমরা ডেথ পেনাল্টি রেখেছি সেখানে ৷ আমরা শাস্তি রেখেছি ৷ অ্যাসিডেও অনেক সময় মুখটুখ পুড়িয়ে দেয়, তার জন্যও আমরা শাস্তি রেখেছি ৷ আমাদের সেই বিল এখনও পাশ করায়নি কেন্দ্রীয় সরকার ৷ ফেলে রেখে দিয়েছে ৷ আমরা চাই, সেটা একটা মডেল তৈরি হোক এবং দেশে এটা মেনে নেওয়া হোক ৷” মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, “যাবজ্জীবন মানেটা কী ? অনেক কেসে আমরা দেখেছি, দু’তিন বছরে বেরিয়ে গিয়েছে ৷ প্যারোলে বেরিয়ে যায় ৷ তাহলে অন্যায় করলেও তাকে ক্ষমা করে দেব ? কেন বলবে ? এই কেসটায় আমি সত্যি শকড্‌ ৷ আমি নিজেও একজন আইনজীবী ছিলাম ৷ আমি আইনটা পড়েছি ৷ কুমারগঞ্জে যখন গুলি চলেছিল পার্থ সিংহ বর্মনের উপর, সেদিন বালুরঘাট কোর্টে ছাত্রছাত্রীদের হয়ে আমি একটা কোট পরে দাঁড়িয়েছিলাম এবং ছাত্রছাত্রীদের ছাড়িয়ে এনেছিলাম ৷ আইনটা আমি একটু একটু হলেও বুঝি ৷ আমি অনেকগুলো কোর্টে কেস করেছি ৷ টাকার জন্য নয়, মানবিকতার স্বার্থে ৷ কী করে বলেন জাজমেন্ট ? ইট ইস নট দ্য রেয়ার অফ দ্য রেয়ারেস্ট কেস ! আমি মনে করি, ইয়েস, ইট ইস দ্য রেয়ার, সেনসেটিভ অ্যান্ড ভেরি ভেরি হিনিয়াস ক্রাইম ৷”