জেলা

‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে টাকা বিলি করছে বিজেপি’,‌ নন্দীগ্রামে বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার

কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় রোড শো শেষে সভা থেকে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে একযোগে আক্রমণ শানালেন তিনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি থেকে টাকা বিলি করা হচ্ছে। বিজেপির হয়ে টাকা বিলি করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মন্ত্রীরা হোটেলে হোটেলে বসে টাকা বিলি করছেন। গোটা দেশ থেকে বাংলায় টাকা বিলি করা হচ্ছে। এমনকি বিলি করা হচ্ছে পিএম কেয়ার ফান্ডের টাকাও। হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামে শেষ দফার প্রচারে ফের বিস্ফোরক মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু এগুলো করেও বিজেপি জয় পাবে না বলেই জানালেন মমতা ব্যানার্জি। নন্দীগ্রামের মানুষ তাঁর সঙ্গেই আছেন। সাধারণ মানুষের ভোটেই নন্দীগ্রামে জয়ী হবেন তিনি। সাধারণ মানুষই তৃণমূলকে ভোট দেবে আর বিজেপি বোল্ড আউট হয়ে যাবে। এর পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, ভিন রাজ্য থেকে প্রচুর পুলিশ এসেছে রাজ্যে। আর এই ভিন রাজ্যের পুলিশরাই সাধারণ নিরীহ গ্রামবাসীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করুন। এছাড়াও মমতা প্রশ্ন তোলেন, একজন প্রার্থী হয়ে কীভাবে পাঁচটির বেশি গাড়ি ব্যবহার করতে পারে? প্রশ্ন করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এরই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর র‍্যালিতে কীভাবে একশো গাড়ি থাকছে সেই নিয়েও প্রশ্ন করেন মমতা। করোনা পরিস্থিতিতে প্রার্থীর সঙ্গে কিংবা রোড শোয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গাড়ি রাখার নিয়ম বেঁধে দিয়েছে কমিশন। কিন্তু সেই নিয়ম মানছেন না অনেকে, এদিন নাম না করে শুভেন্দুর সঙ্গে ৩০ টি গাড়ির কনভয় থাকার জন্য কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নন্দীগ্রামে জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘কনভয়ে ৩০টির বেশি গাড়ি কেন? সঙ্গে বন্দুক, গোদা গোদা দেখতে। নন্দীগ্রামের মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে গুণ্ডা দিয়ে। আমদাবাদ, গোকুলনগরে, রেয়াপাড়ায় ভয় দেখিয়েছে। রাতে গুণ্ডা ঢুকছে। আমি ভোটার, আমি থাকবই। কিন্তু ভোটের পর ওই গুণ্ডারা চলে যাবে। গুণ্ডারা গুণ্ডামি করতে এলে মা-বোনেরা এগিয়ে আসুন। একজনের গায়ে হাত দিলে হাতা-খুন্তি নিয়ে বেরোন। দেখতে চাই খেলায় কে হারে, কে জেতে।’ এদিন নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দুর হয়ে রোড শো করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই রোড শোতে ১০০-এর বেশি গাড়ি থাকায় কমিশনের ভূমিকায় সরব হন মমতা। এদিন ফের নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের সময় পাশে ছিল না গদ্দাররা। যার বাড়ি থেকে গুলি চলল, এখন সে গদ্দারের ডান হাত। কিছুদিন আগেই বিজেপিতে যোগদান করেছে। তাঁকে গোকুলনগর, বয়াল দখল করতে নির্দেশ দিয়েছে গদ্দার। গুণ্ডাদের শায়েস্তা করতে হবে। রাজনীতি করা লোক এত বড় গুণ্ডা হতে পারে জানতাম না।’ রাজ্য ভোটের ফলাফল বেরোবে ২ মে। আর তারপর সব ভিন রাজ্যের পুলিশ চলে যাবে। নির্বাচন কমিশনে এই বিষয়গুলি নিয়ে বারবার অভিযোগ করা হলেও কমিশন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তাই তিনি বলেন সবাই মাথা ঠাণ্ডা রাখুন। মাস্ক পড়ে বুথে যাবেন ঠাণ্ডা মাথায় নিজের ভোটটা দেবেন। ইভিএম মেশিন খারাপ থাকলেও অপেক্ষা করবেন। ভোট দিয়ে তবেই বাইরে আসবেন। বিজেপির যে পাণ্ডারা এখন গুন্ডামি করছে, ভোটের পর সব পাণ্ডাদের বুঝে নেব। নন্দীগ্রামের হাইভোল্টেজ লড়াইয়ে শুভেন্দুকে হারানোর বিষয়ে ১০০ শতাংশ আশাবাদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।