আজ দুপুরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন নন্দীগ্রাম থেকে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। তার পাল্টা রাসবিহারীতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু গলার শিরা ফুলিয়ে ঘোষণা করেছেন, ‘মাননীয়াকে হাফ লাখ ভোটে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।’ এই চাপানউতোরে রাজ্য রাজনীতির কেন্দ্রতে ফের এল নন্দীগ্রাম। প্রায় ১০ বছর বাদে আবার নন্দীগ্রামকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই যে শাসক দল কোমর বেঁধেছে তার প্রমাণ মিলল সোমবার রাতে। কলকাতায় ফেরার কথা থাকলেও সোমবার রাতে কোলাঘাটেই থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের নেতাদের সঙ্গে দু-দফায় বৈঠক করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সোমবার রাতে কোলাঘাটেই থাকবেন তিনি। তারপর মঙ্গলবার সকালে সেখান থেকেই হেলিকপ্টারে পুরুলিয়া যাবেন তিনি। মূলত, এদিন সন্ধ্যায় শুভেন্দুর হুঙ্কারের পর নন্দীগ্রাম সহ দুই মেদিনীপুরের ৩৫ আসনে কীভাবে জেতা যায় তার একটা মূল নকশা এদিন রাতে দলীয় নেতাদের সঙ্গে কোলাঘাটে বসে তৈরি করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, জঙ্গলমহলে কী করে শুভেন্দু তথা গেরুয়া শিবিরকে চাপে রাখা যাবে, তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, অধিকারিরা সম্পূর্ণ বাদ হয়ে যাওয়ায় দুই মেদিনীপুরে দলের সংগঠনের কী হাল, তা খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী।