ঘূর্ণিঝড় যশ দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসছে ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকায়। যদিও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বঙ্গে প্রবেশ করছে না ‘যশ’। ওড়িশার মধ্য ও উত্তর ভাগে প্রবেশ করছে ‘যশ’। তবে এখনই সবকিছু বলা ঠিক নয়। গতবছর ঠিক এইসময়ে আম্ফান’-এর দেখেছিল বঙ্গবাসী এবার ‘যশ’। আর সেই ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় কড়া হাতে কন্ট্রোল রুম সামলাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন আজ সারারাত নবান্নেই থাকবেন তিনি। আগামীকাল ভোরবেলা থেকে নিজের হাতেই সামলাবেন কন্ট্রোল রুম। এদিন তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘আমফান থেকে শিক্ষা নিয়েছি। রাজ্যের প্রায় ৯ লক্ষ মানুষকে ইতিমধ্যেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যশ মোকাবিলায় রাজ্যের প্রায় ৭৪ হাজার সরকারি কর্মীকে কাজে লাগানো হচ্ছে। পাশাপাশি, মানুষকে সাহায্যে প্রস্তুত রয়েছেন সিভিক পুলিশ, হোমগার্ড সহ ২ লক্ষ পুলিশ কর্মী। মোট ৩ লক্ষ মানুষকে নিয়ে দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দেওযার কাজ চালানো হবে। প্রয়োজনে নামানো হবে সেনা। দুর্যোগ আমাদের হাতে নেই। আটকাতেও পারব না প্রকৃতিকে। তবে আমি পাহারা দেব আপনাদের। পরিস্থিতি যাই হোক, ভরসা রাখুন। ২৫ ও ২৬ তারিখ আমি রাত জেগে পাহারা দেব। আপনারা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকুন।’ এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, উপকূলরক্ষাবাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ, হোমগার্ড, সিভিক পুলিশ, ডুবুরি, আশা কর্মী, নৌসেনা কার্যত সকলকে নিয়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ‘যশ’-এর মোকাবিলায় লড়তে বদ্ধপরিকর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ আবারও সন্ধ্যে ৬ টায় সাংবাদিক সম্মেলন করে ‘যশ’ নিয়ে পরবর্তী আপডেট দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও এ দিন গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘একে ঘূর্ণিঝড় তার উপর পূর্ণিমায় ভরা কোটাল এবং চন্দ্রগ্রহণ। সব মিলিয়ে গঙ্গার জলস্তর অনেকটাই বেড়েছে। গঙ্গায় জল বাড়লে কলকাতাও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।’ মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য আশ্বস্ত করে বলেন, কলকাতায় এলাকা ভিত্তিক ভাবে পুরসভার কো- অর্ডিনেটরদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যাতে কোথাও জল নিকাশী ব্যবস্থা নিয়ে কোথাও সমস্যা না হয়। তিনি আরও জানান, পুলিশ, সেনা, চিকিৎসক, নার্স, আইসিডিএস কর্মীদের ধরে সব মিলিয়ে ইয়াস মোকাবিলার প্রস্তুতি এবং উদ্ধারকাজের জন্য প্রায় ৩ লক্ষ জনকে নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়েছে।