দিল্লি যাচ্ছেন না মমতা ৷ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সংঘাত আরও তীব্র করতে চলেছে তৃণমূল ৷ আগামী ২৮ তারিখ নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনে থাকছে না তৃণমূল কংগ্রেস তা আগেই জানিয়েছিল দল ৷ এবার নীতি আয়োগের বৈঠকেও দিল্লি যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অতীতে নিজের মুখে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা জানালেও বুধবার তৃণমূল সূত্রে খবর দিল্লি যাচ্ছেন না মমতা ৷ পাশাপাশি কে তাঁর হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন নীতি আয়োগের বৈঠকে তা অবশ্য জানা যায়নি ৷দিন কয়েক আগে সাংবাদিক সম্মেলন করে নীতি আয়োগ নিয়ে কার্যত ক্ষোভ উপড়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন নীতি আয়োগের বৈঠকে তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় ৷ তারপরও তাঁকে বলতে দেওয়া হয় না । এবার সরাসরি সংঘাতের পথে হেঁটে নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তৃণমূল সূত্রে খবর 27 তারিখ নির্ধারিত দিনে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন না। আগে ঠিক হয়েছিল নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে 26 তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার দিল্লি যেতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে তারপরেই আচমকা নিজের এই অবস্থান পরিবর্তন করলেন তিনি। মনে করা হচ্ছে রাজ্যের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ এবং তাঁকে বলতে না দেওয়ার কারণেই হয়তো নীতি আয়োগের এই বৈঠকে যোগ না দেওয়ার রাস্তাতেই হাঁটলেন তিনি।কয়েকদিন আগেই নবান্ন সাংবাদিক সম্মেলনে এই নীতি আয়োগ নিয়ে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেই মমতা জানিয়েছিলেন প্ল্যানিং কমিশনে রাজ্যের দাবী দাওয়া নিয়ে সরব হওয়ার সুযোগ থাকে। প্রত্যেক রাজ্যকে আলাদা করে সময় দেওয়া হতো। কিন্তু নীতি আয়োগ হওয়ার পর থেকেই গোটা বিষয়টি বদলে গিয়েছে। এখানে তাঁকে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে শুধুই বসিয়ে রাখা হয়। এর দাবী দাওয়া নিয়ে বলতে দেওয়া হয় না।মনে করা হচ্ছে মমতার দিল্লি না যাওয়ার পেছনে আরও একটা কারণ হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর সংসদ ভবনের উদ্বোধন। কারণ ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফ থেকে এই সংসদ ভবন উদ্বোধনের বিষয়টিকে বয়কট করা হয়েছে। দলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন নিজে টুইট করে সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটের কথা জানিয়েছেন। এরপর বুধবার দুপুরে জানা যায় কংগ্রেসসহ মোট 19টি দলও এই অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমতাবস্থায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বিরোধিতাকে আরও সপ্তমে তুলতে চাইছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এক্ষেত্রে নীতি আয়োগের বৈঠককে বয়কট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই বিষয় নিয়ে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এখন দেখার এরপর রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া হয়।”