জেলা

নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার দাবী খারিজ রির্টানিং অফিসারের, জয়ী শুভেন্দু, আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি মমতার

রাজ্যে ২৯৪ টি বিধানসভার আসন থাকলেও আজ রবিবার ভোট গণনা হবে ২৯২টি আসনের। রাজ্যবাসী তো বটেই গোটা দেশ তাকিয়ে রয়েছে নন্দীগ্রামের দিকে। কেননা ওই আসনে রাজ্য রাজনীতির দুই মহারথী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী লড়ছেন। দু’জনের রাজনৈতিক ভবিষ্যত অনেকাংশে নির্ভর করছে আজকের ফলাফলের উপরে।  দিদি নয়, বলাই যায়, নন্দীগ্রামে শেষ হাসি হাসলেন দাদাই। বা বলা যায় শেষ হাসি হাসলেন নন্দীগ্রামের মেজোবাবু শুভেন্দু অধিকারী।বিকেল থেকেই নন্দীগ্রাম নিয়ে চরম বিভ্রান্তি সামনে আসে। প্রত্যেকটি রাউন্ডে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ১৭ অর্থাত্‍ শেষ রাউন্ডে ভোটগণনার পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে জয়ী হয়েছেন বলে খবর সামনে আসে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যায়, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে ১২০০ ভোটে জিতেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এরপর, সন্ধ্যা গড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তারপরই জানা যায়, প্রায় দুহাজার ভোটের কাছাকাছি ভোট নিয়ে জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।জানা যায়, সার্ভারে সমস্যার জেরে সঠিক ভাবে কিছু জানা যাচ্ছে না। তার পরেই জানা যায়, প্রায় ১৭০০ ভোটে জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। জানা যায়, সার্ভারের ত্রুটির জেরে দুপুরে এমনিতেই চল্লিশ মিনিট ভোটগণনা বন্ধ ছিল সেখানে। তার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের খবর সামনে আসে। তার পরেই জানা যায়, নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।এদিন কালীঘাটে নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বার্তা রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিরাট জয়ের জন্য তিনি বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ জানান। কিন্তু তখনই খবর আসে, শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন নন্দীগ্রামে তিনিই জিতেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৭০০ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, মমতা প্রথমে বলেন, “কনফিউশন কিছু নেই। যাঁরা ২২১টাতে জেতে তাঁদের একটা নিয়ে কনফিউশন থাকে না। আমি নন্দীগ্রামে যা হয়েছে মেনে নিচ্ছি। ভগবান যা করে মঙ্গলের জন্যই করে। আমাকেও কষ্ট করে এত দূরে বার বার যেত হত। কিন্তু আমি আদালতে যাব, ভোট লুঠ হয়েছে।”