সব ভাঁওতাবাজি, বিজেপি-র চাকরির প্রতিশ্রুতি কার্ড নিয়ে তোপ
আজ কোচবিহারে দলীয় সভা থেকেও ফের একবার বিজেপিকে একহাত নিলেন মমতা। তিনি বলেন, হিংসার রাজনীতি, ভেদাভেদের রাজনীতি করছে বিজেপি । ভয় দেখাচ্ছে । শুধু বিজেপি নয়, নাম না করে দলত্যাগী নেতা-কর্মীদেরও আক্রমণ করেন তিনি । সেইসঙ্গে কোচবিহারে তৃণমূল কর্মীদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান ।শুধুমাত্র বিজেপি নয়, ভোটের আগে দলত্যাগীদের নিশানা করে মমতা বললেন , “যারা প্রথম থেকে তৃণমূলে ছিল, তারা কিন্তু আছে । একটা-দু’টো জোয়ার আসে আর ভাটায় চলে যায় । যারা প্রথম দিন থেকে থাকে, তারা কিন্তু শেষদিন পর্যন্ত থাকে । মানুষ রোজ রোজ তার চরিত্র বদল করতে পারে না । কাপড় জামা বদলানো যায় । আদর্শ বদলানো যায় না ।” মমতার দাবি, তৃণমূল সরকার সমস্ত প্রতিশ্রুতি পালন করে । তিনি বলেন , “পঞ্চানন বর্মার মিউজ়িয়াম তৈরি করা হয়েছে । রাজবংশী আবাস যোজনায় ১১০০ বাড়ি তৈরি করেছি । কামতাপুরী , রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি তৈরি হয়েছে । নারায়ণী সেনা ব্যাটেলিয়ন উদ্বোধন করেছি মেখলিগঞ্জে । মেডিকেল কলেজ করে দিয়েছি । সব প্রতিশ্রুতি পালন করেছি । কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কথা দিয়েও কথা রাখে না । এদিকে কুৎসা ও অপপ্রচার শুরু করেছে বিজেপি ।” বিজেপি শিবিরের নেতা-নেত্রীরা ‘বহিরাগত, চম্বলের গুন্ডা’ বলে মন্তব্য করেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপির চাকরির প্রতিশ্রুতিকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পুরো ভাঁওতাবাজি’। এই প্রসঙ্গে ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদীর চাকরি ও ১৫ লাখের প্রতিশ্রুতির প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন মমতা। তোপ দেগেছেন এনআরসি-এনপিআর ইস্যুতেও। আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে চাকরির প্রতিশ্রুতি কার্ড বিলি করছে বিজেপি। তা নিয়ে আগেও তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বুধবার কোচবিহার রাসমেলা ময়দানের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তীব্র কটাক্ষে বিঁধলেন পদ্ম শিবিরকে। তিনি বলেন, ”এখন আবার ফর্ম বিলি করে বেড়াচ্ছে। মনে আছে? ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে কী বলেছিল? বলেছিল ২ কোটি মানুষকে চাকরি দেবে? ৬ বছর তো ক্ষমতায় আছে, ক’টা চাকরি দিয়েছে? বলেছিল প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা দেবে। এক টাকাও পেয়েছেন? কোথায় গেল এখন? এ বারও তাই হবে। ভোটের পরে আর দেখা পাওয়া যাবে না কারও।”লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের ৮টির একটি আসনও পায়নি তৃণমূল। সেই আক্ষেপও এ দিন শোনা গিয়েছে মমতার গলায়। তিনি বলেন, ”লোকসভায় আপনারা হয়তো আমাকে ভোট দেননি। আমরা ভাল ফল করতে পারিনি। তা নিয়ে আমার কোনও আক্ষেপ নেই। কিন্তু বিধানসভা ভোটে আপনাদের কাছে একটা চাওয়া আছে। আপনারা শুধু পাশে থাকবেন।”