মাদ্রিদের বিশ্বখ্যাত রিয়েল মাদ্রিদের নিজস্ব অ্যাটলেটিকো ফুটবল স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো ব্যবস্থা ঘুরে দেখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গী ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন মাদ্রিদে ছুটির দিন। তাও স্টেডিয়াম পরিকাঠামো দেখার কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, তা জেনেই সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যান লা লিগা কর্তৃপক্ষ। এদিন মাদ্রিদের সময় অনুযায়ী বিকেলে সেখানে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি ছিলেন বাংলার ফুটবল ক্লাবের প্রতিনিধিরাও। মাঠের পরিকাঠামোও দেখেন তাঁরা। এদিন স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্রী রেনে ও রিয়েল মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষ মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর সঙ্গীদের স্টেডিয়ামের প্রবেশপথে স্বাগত জানান। রেনে গাইডের ভূমিকা নেন। স্টেডিয়ামের সঙ্গে রয়েছে ঐতিহাসিক ক্লাবটির প্রদর্শশালা। সেখানে অসংখ্য ট্রফি সাজানো। কোনওটা স্প্যানিশ লিগ, কোনওটা বা ইওরোপীয় ক্লাব লিগে জেতা ট্রফি। রয়েছে ব্যক্তিগত সাফল্যের নানা স্মারক। সমস্ত কিছু মন দিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। নানা প্রশ্নও করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের সফল প্রাক্তন অধিনায়ক, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি। ছিলেন সফরকারী দলের সব সদস্য, শিল্পপতি থেকে সাংবাদিক, সকলেই। গোটা স্টেডিয়াম ঘুরে তাঁরা অবশেষে পৌঁছোন টিভিতে বহু বার দেখা সেই গ্যালারিতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও সৌরভ গাঙ্গুলি গ্যালারিতে পাশাপাশি বসেন। পরে স্টেডিয়াম থেকে বেরোনোর সময় মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলার রক্তে রক্তে, মাটিতে ঘাসে মিশে রয়েছে ফুটবল, ক্রিকেট।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সব খেলার সেরা বাঙালির ফুটবল। বিশ্বকাপ যখন হয়, তখন আমরা মেসি, রোনাল্ডো, রোনাল্ডিনহো— সবার খেলা দেখি। পেলে তো কলকাতায় কত বার এসেছেন। আমাদের ছেলেরা ফুটবল–পাগল। তারা রাত জেগে ফুটবল দেখে। প্রিয় দল হারলে চোখ মোছে।’ তিনি বললেন, এই স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো ব্যবস্থাই মূলত তিনি দেখতে এসেছেন। তাঁর কথায়, ‘আমাদের কলকাতাতেও এর থেকে বড় স্টেডিয়াম আছে। সল্টলেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামের দর্শক–ধারণ ক্ষমতা এর থেকে অনেক বেশি। সিএবির যে স্টেডিয়াম আছে, ইডেন গার্ডেন্স, সেখানেও দর্শক–ধারণ ক্ষমতা বেশি। আমি মূলত এখানকার পরিকাঠামোই দেখতে এসেছিলাম। দেখতে এসেছিলাম, কীভাবে ফুটবলকে এঁরা বাণিজ্যিক করে তুলেছেন, তাও।’