দেশ

‘গণতন্ত্র বাঁচাও দেশ বাঁচাও’, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে একজোট হওয়ার ডাক, প্রতি ২ মাস অন্তর দিল্লিতে আসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নয়াদিল্লিঃ ৫ দিনের দিল্লি সফর শেষে আজ কলকাতায় ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আগে ফের বিরোধীদের একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বললেন, “গণতন্ত্র বাঁচাও, দেশ বাঁচাও- এটাই আমাদের স্লোগান”। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে একজোট হতে হবে। মূল্যবৃদ্ধি প্রতিবাদে লড়াই চলবে। ” একইসঙ্গে প্রতি দু’মাস অন্তর দিল্লি যাবেন বলেও এদিন জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “দেশবাসীর অবস্থা খারাপ। কেন্দ্র সরকার রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।”  এদিন মুখ্যমন্ত্রী কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গে বলেন, “এবার ওঁদের সঙ্গে দিল্লিতে দেখা হয়নি। ওঁরা কেউ তো যোগাযোগ করেননি। তবে যখন বাংলায় গিয়েছিলেন তখন কথা হয়েছে। কৃষক আন্দোলনের পাশেই আছি আমি।” পাশাপাশি করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ

করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “আমি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকেও জানিয়েছি। তাঁকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” দিল্লিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যেমন রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে বৈঠক করেছেন মমতা, তেমনি সনিয়া-রাহুল গান্ধি সহ একাধিক বিরোধী দলের নেতার সঙ্গেও বৈঠক সেরেছেন তিনি। কিন্তু যাঁর সঙ্গে শুরু থেকে এক হয়ে চলছিলেন তিনি, সেই শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক হয়নি মমতার। সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শরদ পাওয়ারের বৈঠকের পরই গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, তবে কি রাষ্ট্রপতির প্রস্তাব পাওয়া পাওয়ার নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন বিরোধী জোট থেকে? এদিন অবশ্য মমতা জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে শরদ পাওয়ার দেখা হয়নি বটে, তবে ফোনে কথা হয়েছে। যদিও মমতার ‘সফল’ দিল্লি সফরের মাঝে পাওয়ার-কাঁটাই বিঁধছে তৃণমূল সুপ্রিমোকে। এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘দেশে গণতন্ত্র যখন বিপন্ন হয়, তখন দেশ ভালো থাকে না। আমাদের দেশ বাঁচানোর কাজ করতে হবে।’