কলকাতা

কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ৩ ঘণ্টার ধর্না, ‘নিষিদ্ধ’ হয়েও দিনভর মানুষের মনে থেকে গেলে বাংলার মেয়ে মমতা

 ৩ ঘণ্টা পর ধর্না প্রত্যাহার করে কালিঘাটে বাড়ির পথে রওনা হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সন্ধ্যের সভার আগে তিনি রাজভবনে যেতে পারেন। অন্য দিকে নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর আগামিকালই মাথাভাঙায় কেন্দ্রীয় সেনার গুলিতে মৃত চার যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন মমতা। সব মিলিয়ে ঘেরাও মন্তব্যে নিষেধাজ্ঞা থেকে ধর্না-দিনভর মানুষের মনে থেকে গেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনভর ট্যুইটারে ট্রেন্ডিং হয়ে রইল-ব্ল্যাক ডে ফর ডে ফর ডেমোক্রেসি, গণতন্ত্রের কালো দিন। এদিন সকাল ১২টার সময় গান্ধিমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেন মমতা। সেনাবাহিনী সমবেত ধর্নার অনুমতি না দেওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও অনুগামী-সমর্থকদের সঙ্গে রাখতে চাননি। ছিল না কোনও দলীয় পতাকাও। একাই বসে তিনঘণ্টার বেশি সময় কাটান তিনি। বেশ কয়েকটি ছবি আঁকেন। দেখে কোনও ভাবেই বোঝার উপায় ছিল না তিনি চিন্তিত। অন্য দিকে, সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলি ভিড় জমায় তাঁর এই অভিনব সত্যাগ্রহ সম্প্রচারে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারনা এতে তাঁর ক্ষতির চেয়ে লাভ বেশি হল আনেক বেশি। কারণ একটি সাধারণ জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব স্তরের কর্মীদের মনোবল এভাবে চাঙ্গা করা যেত ঠিকই। কিন্তু এভাবে শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রচারের মধ্য দিয়ে দলের নীচুতলায় তো বার্তা গেলই, পাশাপাশি বিরুদ্ধস্রোতকেই অনুকূলে টেনে নিলেন তিনি।