রামপুরহাটে উপপ্রধান খুন ও একের পর এক বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এখনওপর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেছে রাজ্য সরকার। এনিয়ে টুইট করে রাজ্য সরকারেক নিশানা করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পাল্টা চিঠি লিখে ধনকড়ের বিরুদ্ধে রাজ্যকে কালিমালিপ্ত করার অভিযোগ আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শুধু তাই নয়, বিজেপি শাসিত রাজ্যে এরকম ঘটনবা ঘটলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নীরব থাকার অভিযোগও আনলেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল রামপুরহাটে যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে তাতে কয়েকজনের প্রাণহানি হয়েছে। এমন এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে সামনে রেখে আপনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্ন তুলেছেন। এতে আমি ব্যথিত। ওই ঘটনার পর পুলিসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেছে রাজ্য সরকার। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। গ্রামে গিয়েছেন পুলিসের আধিকারিকরা। পাশাপাশি আমি নিজে ডিজিকে বলেছি ঘটনা জড়িতদের গ্রেফতার করতে। আপনি জানেন ওই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা ও পঞ্চায়েতের এক উপপ্রধানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। কারা ওই ঘটনায় জড়িত তাদের রাজনৈতিক পরিচয় তদন্তসাপেক্ষ। কিন্তু কিছু বাড়িতে আগুন দেওয়ার ফলে বেশ কয়েকটি প্রাণ ঝরে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের বদনাম করা জন্য এর পেছনে কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। সেইসব দিক বের করে আনতে তদন্ত শুরু হয়েছে। কিন্তু রাজ্যপাল মহোদয়, আপনি আপনার টুইটে ওই হিংসা ও অগ্নিসংযোগ নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তাতে মনে হচ্ছে গোটা রাজ্যে আইশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। গোটা রাজ্যে বেলাগাম হিংসা চলছে। সর্বোচ্চ এক সাংবিধানিক পদে থাকে একজনের কাছ থেকে এমন মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। চিঠিতে রাজ্যপালকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বা দেশের অন্যান্য অংশে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে আপনার কাছ থেকে এরকম মন্তব্য আসে না। ওইসব ক্ষেত্রে আপনাকে নীরব থাকতে দেখা যায়। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া এরাজ্য বরাবরই শান্তিপূর্ণ। কিন্তু এখানে যখনই কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে তখনই রাজ্যকে কালিমালিপ্ত করার জন্য কোনও চেষ্টারই কসুর করেন না আপনি। আপনার মন্তব্যে রাজনীতির সুর রয়েছে। এতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিকে সাহায্য করা হয়। তাই আপনার কাছে আমার অনুরোধ কোনওরকম অপ্রত্যাশিত না করে প্রশাসনকে পক্ষপাতহীন তদন্ত করতে দিন।