আগামী ৫ জুন গুরুত্বপূর্ণ দলীয় বৈঠক করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ তৃণমূল ভবনে এই বৈঠক হওয়ার কথা। তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ সহ পুরসভা ও পঞ্চায়েত স্তরের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের এই বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও এই বৈঠকে থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর। যে বিষয়গুলো নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তার মধ্যে অন্যতম নির্বাচন-পরবর্তী তৃণমূল কংগ্রেসে সাংগঠনিক রদবদল। সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন তৃণমূল নেত্রী। একই সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলা এই তালিকায় রয়েছে। সেক্ষেত্রে জেলা সভাপতিসহ বেশ কিছু পদে অদল বদল হতে পারে। এখনও পর্যন্ত ৫টি জেলার নাম এই তালিকায় রয়েছে। সেগুলো হল- উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বর্ধমান পূর্ব, দার্জিলিং এবং কোচবিহার। সেই সঙ্গে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ চালু করতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অর্থাত্ ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ। মূলত প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শেই এই বিষয়টি চালু হতে পারে বলে সূত্রের খবর। কোনও নেতা হয় প্রশাসনিক পদে থাকবেন অথবা দলের পদে থাকবেন। একই সঙ্গে দলের জেলা সভাপতি অথবা সহ-সভাপতি বা ব্লক প্রেসিডেন্ট আবার পঞ্চায়েতের কোনও বিশেষ পদে থাকা, এই দুই বিষয় একসঙ্গে চলবে না।নির্বাচন-পরবর্তী এই এক মাসে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যাঁরা বিজেপিতে গেছিলেন, তাঁদের অনেকেই ফিরে আসতে চেয়ে তৃণমূল নেত্রীর কাছে দরবার করেছেন। তালিকায় সোনালি গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাস, অমল আচার্য সহ অনেকেই রয়েছেন। এঁদের দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে কি না, সেই বিষয়েও এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে সূত্রের খবর। বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পরে দলের নেতা কর্মীরা যেন আত্মতুষ্টিতে না ভোগেন। সূত্রের খবর, এই নিয়ে সতর্ক থাকতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।