কলকাতা

২১ জুলাইয়ের শহিদ স্মরণে ভার্চুয়াল সভায় সকলকে আহ্বান মমতার

কলকাতাঃ আজ ২১ জুলাই শহিদ স্মরণে ভার্চুয়াল সভায় সকলকে আহ্বান জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে তিনি লিখেছেন, ১৯৯৩ সালে আজকের দিনে আমাদের ১৩ জন কর্মী তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকারের হাতে শহিদ হতে হয়েছিল। তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিবছরই আমরা এই দিনটিতে অনুষ্ঠান করি। কিন্তু করোনা মহামারির জেরে এবার কিছু বাধা-নিষেধ রয়েছে। তাই এবার আমরা একটু অন্যভাবে পালন করব। এবার সব অনুষ্ঠান হবে দুপুর ১টা থেকে ২ টা অবধি বুথভিত্তিক। আমি সব বুথের সকল ভাই-বোনেদের সঙ্গে কথাও বলব। সবচেয়ে বড় ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ হবে আগামী বছর ২০২১-এ। উল্লেখ্য, প্রতি বছর ২১ জুলাই দিনটি শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের বার্ষিক সাধারণ সমাবেশও কার্যত হয় এই দিনেই। যে কোনও উদযাপনের জন্য এই ২১ জুলাই দিনটিকেই বেছে নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ১৯৯৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ যুব কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে ক্ষমতায় তখন জ্যোতি বসুর সরকার। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার জন্য সচিত্র ভোটার আইডির দাবিতে ২১ জুলাই মহাকরণ অভিযানের ডাক দেন তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহাকরণ অভিযানের জন্য রাস্তায় নামেন হাজার হাজার যুব কংগ্রেস কর্মী। বিভিন্ন ক্রসিংয়ে ব্যারিকেড গড়ে মহাকরণ অভিযান রুখতে তৎপর হয় পুলিসও। শুরু হয় ধস্তাধস্তি, চলল গুলিও। সেই গুলিতে নিহত হন যুবকংগ্রেসের ১৩ জন কর্মী-সমর্থক। তাঁরা হলেন বন্দনা দাস, মুরারী চক্রবর্তী, রতন মণ্ডল, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ রায়, অসীম দাস, কেশব বৈরাগী, শ্রীকান্ত শর্মা, দিলীপ দাস, রঞ্জিত দাস, প্রদীপ দাস, মহম্মদ খালেক, ইনু। গুলিতে নিহত এই ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মীকে শ্রদ্ধা জানাতেই এরপর থেকে ২১ জুলাই দিনটি ‘শহিদ দিবস’হিসেবে পালন করা শুরু হয়। প্রতিবছর ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।