গতকাল বিরল ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বিধানসভা ৷ শুভেন্দুর ঘুসিতে নাক ফাটল তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের। যেই ঘটনায় এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাসকদলের চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার ৷ এই ঘটনার ‘নৃশংসতা’ জানিয়ে দেশের বিরোধী দলগুলির নেতৃত্বকে চিঠি পাঠালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দিল্লি যাত্রার আগে মঙ্গলবার দেশের সব বিজেপি(BJP) বিরোধী নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর এই চিঠি যে আদতে বিজেপি বিরোধিতায় জাতীয় স্তরে ঐক্যের প্রচেষ্টা সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই চিঠির মাধ্যমে মমতা আদতে জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে বার্তা দিলেন যে, বিজেপির বিরুদ্ধে যদি লড়াই করতেই হয় তাহলে সবাইকে একজোট হয়েই লড়াই করতে হবে। জাতীয় স্তরে বিরোধীদের একজোট হয়েই প্রতিবাদে নামতে হবে মোদি সরকারের একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। এদিন মমতা যে চিঠি বিজেপি বিরোধী নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীদের পাঠিয়েছেন তাতে তিনি লিখেছেন, ‘বিজেপি দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির ওপরে সরাসরি আঘাত হানছে। ইডি, সিবিআই, সিভিসি, আয়কর দফতর প্রভৃতির মাধ্যমে দেশজুড়ে বিরোধী নেতাদের হেনস্থা করতে, কোনঠাসা করতে চেষ্টা করছে। সংসদে সাম্প্রতিককালে শেষ হওয়া শীতকালীন
অধিবেশনে তাঁরা গায়ের জোরে দিল্লি পুলিশ আর সিভিসি নিয়ে অ্যামেন্ডেন্ট পাশ করিয়েছে। এর ফলে ইডি ও সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তাদের কার্যকালের মেয়াদ কেন্দ্র একক ভাবেই আরও ৫ বছরের জন্য বাড়িয়ে দিতে পারবে যা সুপ্রিম কোর্টের এই সম্পর্কিত শেষ নির্দেশের চূড়ান্ত বিড়োধী। বিজেপি গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত করছে। সকলের কাছে তাই আমার আবেদন, নিজেদের সময়-সুযোগমতো একসঙ্গে বসে আলোচনা করি এবং এর বিরোধিতায় সরব হই।’ এদিনের চিঠিতে মমতার আরও অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় ভোটের আগেই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। আয়কর সংস্থা, ভিজিল্যান্স কমিশনকে দিয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়ানো হয়। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে এসবের বিরোধিতায় সরব হওয়া প্রয়োজন সকলের। এবং তার জন্য বিজেপি বিরোধী দলগুলির সকলের এক ছাতার নিচে আসা দরকার। সেই কারণেই অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশে ও বিজেপি বিরোধী নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি এই চিঠি লিখেছেন। যদিও চিঠিতে কোনও বিশেষ নেতা কিংবা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম নেই। তবে মনে করা হচ্ছে এই চিঠির প্রাপকদের মধ্যে কে সি রাও, অখিলেশ যাদব, উদ্ধব ঠাকরে, এম কে স্ট্যালিন, শরদ পাওয়ার, তেজস্বী যাদব, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, শরদ যাদব প্রমুখরা থাকতে পারেন।