২৩ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। সেই দিনটি এবং সারা বছর নেতাজীকে ঘিরে কী কী কর্মকাণ্ড হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ছক কষে ফেলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এমনকি প্রায় এক দেড় মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে একটি কমিটিও এই নিয়ে গঠন করে দেন যেখানে রাজ্যের বিশিষ্টজনদের ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি নবান্নে মুখোমুখি বসে ও ভার্চুয়াল ভাবে এই কমিটির সঙ্গে একটি বৈঠকও করেন মুখ্যমন্ত্রী। নেতাজীর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী সারা বছর ধরে কীভাবে রাজ্য সরকার উদযাপন করবে রাজ্য সরকার তা ঠিক হয় সেই বৈঠকেই। সেদিনই বৈঠক চলাকালীন সময়ে মুখ্যমন্তড়ী বেশ ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছিলেন নেতাজীর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী কেন্দ্র সরকার কীভাবে উদযাপন করবে সে সম্পর্কে কেন্দ্র থেকে কোনও তথ্যই পাননি তিনি। এমনকি এই নিয়ে কোনও কমিটি গঠন হবে কিনা তাও কেন্দ্র সরকার কিছু জানায়নি। মুখ্যমন্ত্রীর এই অসন্তোষের কোনও জবাব বিজেপি বা মোদি সরকার না দিলেও এদিন কেন্দ্রের তরফে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৮৫জনের একটি সুবৃহত্ কমিটি ঘোষিত হয়েছে। তাতে যেমন মমতা, বুদ্ধদেব, শুভেন্দু, সৌরভ ঠাঁই পেয়েছেন তেমনি রয়েছেন একঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজ্য থেকে নির্বাচিত বিজেপির সাংসদেরা, আজাদহিন্দ বাহিনীর প্রাক্তন সেনা আধিকারিকেরা এবং চলচ্চিত্রের নামকরা ব্যক্তিত্বরা। অথচ সেখানে জায়গা পাননি নেতাজীর পরিবারের সদস্য সুগত বসু ও সুমন্ত্র বসুরা।