জেলা

‘মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে’‌, শুভেন্দু-রাজীবকে তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

ফের দলত্যাগীদের একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কালনায় বৈদ্যপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ ফুটবল গ্রাউন্ডে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘‌দুষ্টু গরু’‌, ‘‌বিশ্বাসঘাতক’‌ বললেন। যদিও একবারও তাঁদের নাম মুখে আনলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন নিজের স্বকীয় ভঙ্গিতেই প্রবাদ–প্রবচন তুলে আনলেন তিনি। বললেন, ‘‌কয়েকটি দুষ্টু গরু দুর্নীতি ঢাকতে হাম্বা হাম্বা ডাকতে ডাকতে এখানে ওখানে যাচ্ছে। তাঁরা গিয়েছেন ভালো হয়েছে। পাপ বিদায় নিয়েছে। দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভালো। তৃণমূলে দুষ্টু গরুর দরকার নেই। তৃণমূল কংগ্রেস তারাই করবে যারা মানুষের কাজ করবে।’ এর পর মুখ্যমন্ত্রী দলত্যাগীদের সন্তানের সঙ্গেই তুলনা করলেন। এও বললেন, ওই সন্তানরা বিশ্বাসঘাতক। তাঁর খোঁচা, ‘‌মা ছেলেদের খাইয়ে লালন–পালন করবে আর তারপর মা যখন অসুস্থ হয়ে পড়বে, কিংবা মায়ের যখন খাবারের প্রয়োজন হবে, তখন তুমি মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে পালিয়ে যাবে? এই সন্তান কুসন্তান। এ সন্তান কখনও মায়ের সুসন্তান হতে পারে না।’ প্রসঙ্গত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে মমতার ছবি নিয়ে বিধানসভা থেকে বেরিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘‌নেত্রী আমার মায়ের মতো।’‌ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেই নিয়েই রাজীবকে খোঁচা দিলেন মমতা। ‌পাশাপাশি এও বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূলে তিনিই শেষ কথা। প্রত্যেক নেতা–মন্ত্রীকে শাসন করার এক্তিয়ার তাঁর রয়েছে। আর সেই ভয়েই  ‘‌দলত্যাগী’‌ হয়েছেন কয়েক জন।  তাঁর কথায়, ‘‌শান্তি, স্বস্তিতে থাকতে গেলে তৃণমূলই আপনাদের ভালো বন্ধু। তৃণমূলে কেউ অন্যায় করলে আমি গার্জেন হিসেবে রয়েছি। একদম কান মুলে দেব। দরকার হলে গালে থাপ্পড় দেব। অন্যায় আমি বরদাস্ত করব না। তাই দু’‌–একজন ভয় পেয়ে পালিয়েছে। ভাবছে আমি টিকিট দেব না। কেন দেব?’‌ দলত্যাগীদের এর আগেও বিভিন্ন সভায় কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা। বলেছেন, ‘‌এরপর আর তৃণমূলে আসার চেষ্টা করবেন না। আপনাদের নেব না। আপনাদের মতো চোরকে নেব না।’‌ তাঁর বার্তা, ‘‌তৃণমূলে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের মনে রাখতে হবে, এখানে লোভের জায়গা নেই। এটা মা–মাটি–মানুষের দল।’‌ 

https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/videos/871423790098375