কলকাতা

দেশ বাঁচাতে বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আনুন, টিকা উত্‍পাদনের জন্য জমি দিতেও প্রস্তুত বাংলা, ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর

ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের তরফে যে পরিমান ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম, চিঠিতে এমনটাই জানালেন তিনি। পাশাপাশি ভ্যাকসিন উত্‍পাদনের জন্য রাজ্য জমি দিতে প্রস্তুত বলেও এদিন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। রাজ্যেও লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। পরিস্থিতি মোকাবিলার একটাই পথ, টিকাকরণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রের তরফে সহযোগিতা করা হচ্ছে না। প্রয়োজন অনুযায়ী পাঠানো হচ্ছে না ভ্যাকসিন। এই নিয়ে একাধিকবার মোদিকে চিঠিও পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান তিনি। চিঠিতে মমতা লিখলেন, বিদেশি সংস্থাগুলোকে দিয়ে দেশেই টিকা উৎপাদন করানো যেতে পারে। দেশে তাদের শাখা খোলাও যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তিনি উৎপাদন কেন্দ্র গড়ার জন্য বাংলায় জমি দিতে প্রস্তুত। বুধবার মমতা চিঠি দিয়ে লিখলেন, ‘‌দেশে করোনা মারাত্মক আকার নিয়েছে। সকলেই এই পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে। কিন্তু টিকার আকাল চলছে। বাংলার ১০ কোটি ও দেশের ১৪০ কোটি মানুষের জন্য টিকা প্রয়োজন। সেই তুলনায় টিকা নেই বলে চলে। বিদেশে অনেক সংস্থা টিকা উৎপাদন করছে। যদি সম্ভব হয়, তাহলে বিদেশের প্রসিদ্ধ সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে টিকা আনার ব্যবস্থা করা হোক। আমি অনুরোধ করছি, দেশের কথা ভেবে বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে টিকা আনা হোক।’‌
তাঁর মতে, দেশের বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরখ করিয়ে নেওয়া হোক, যে কোন বিদেশি সংস্থার টিকা সবথেকে বেশি কার্যকর। সেই অনুযায়ী বিদেশ থেকে আমদানি করা হোক। এর পরেই তিনি প্রস্তাব দেন, ‘‌টিকা উৎপাদনকারী সংস্থার সংখ্যা বাড়ানো হোক। যাঁরা দায়িত্ব নিতে চায়, তাঁদের দেওয়া হোক। টিকা তৈরির জন্য সংস্থাগুলির জমির দরকার হলে রাজ্য সরকার দিতে প্রস্তুত।’‌  ইতিমধ্যেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে আবেদন করেছেন, সিরাম ইনস্টিটিউট তাদের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেক তাদের কোভ্যাক্সিনের ফর্মুলা অন্যান্য সংস্থাকে জানাক। তা হলে অনেক বেশি টিকা উত্‍পাদন করা সম্ভব হবে দেশে। যদিও তাতেও কেন্দ্র এখনও সাড়া দেয়নি। এরই মধ্যে এবার ভ্যাকসিন নিয়ে মোদিকে অনুরোধ করলেন মমতা।