ক্রাইম দেশ

লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে ১০ মাস রেফ্রিজারেটরে

লিভ ইন পার্টনারকে খুন করে তাঁর দেহ ১০ মাস রেফ্রিজারেটরে রাখার অভিযোগ। গ্রেপ্তার করা হলো সঞ্জয় পাতিদার নামে এক ব্যক্তিকে। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের দেবাস এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে লিভ ইন করতেন এই সঞ্জয়। গত বছর জুন মাসে বাড়ি ছেড়ে চলে যান তিনি। এর পর জুলাই মাসে ওই বাড়ির মালিক নীচ তলাটি ভাড়া দেন জনৈক বলবীর রাজপুতকে। তবে তাঁকে জানানো হয়, আগের ভাড়াটিয়া কিছু জিনিসপত্র রেখে গিয়েছেন তাই নীচ তলার দু’টি ঘর তিনি ব্যবহার করতে পারবেন না। বেশ কয়েক দিন আগে সন্দেহ হওয়ায় বন্ধ ঘরের তালা ভেঙে ফেলেন ভাড়াটিয়া বলবীর রাজপুত। ভিতরে একটি চালু রেফ্রিজারেটর দেখে তিনি সেটির সুইচ বন্ধ করে দেন। মনে করছিলেন আগের ভাড়াতে ভুলবশত সেটি অন করে দিয়ে চলে গিয়েছে। কিন্তু তার পর থেকেই দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। বন্ধ ঘর থেকেউ দুর্গন্ধ বের হচ্ছে ঠাওর করতে পেরে ভিতরে ঢোকেন বলবীর। তার পরই চক্ষু চড়কগাছ। ফ্রিজ়ের ডালা খুলতেই দেখতে পান পচা গলা এক মৃতদেহ। মৃতদেহের শরীরে একাধিক গয়না দেখে বুঝতে সমস্যা হয়নি সেটি এক মহিলার। হাত দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ছিল। গলাতেও ছিল ফাঁস। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। জানা যায়, দেহটি প্রতিভা পতিদার নামে এক মহিলার। যিনি ওই বাড়ির আগের ভাড়াটিয়া সঞ্জয় পতিদারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সেখানেই লিভ ইন করতেন। তদন্তে নেমে পুলিশ শুক্রবার উজ্জয়িনী থেকে গ্রেপ্তার করে অভিযুক্ত সঞ্জয়কে। পুলিশি জেরায় সে স্বীকার করে, মার্চ মাসে লিভ ইন পার্টনারকে খুন করেছিল সে। তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিল তাঁর এক বন্ধু। গত বছর জুন মাসে ভাড়া বাড়ি ফাঁকা করে বেরিয়ে গেলেও কিছু জিনিসপত্র ওই দুই ঘরে বন্ধ করে রেখে গিয়েছিলেন তিনি। বাড়ির মালিককে জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই এসে সেগুলি নিয়ে যাবেন। জানা যাচ্ছে, মাঝে মধ্যেই দেবাস এলাকার ওই ভাড়া বাড়িতে এসে ঘরে ঢুকে নিজের জিনিসগুলি দেখে যেতেন। আদতে তিনি দেহটিই দেখতে আসতেন বলে পুলিশের অনুমান।