বনগাঁঃ আজ মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা গেল গোপালনগরে। এছাড়া সভায় ভিড় করেছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষ ৷ এ যেন জনজোয়ার। এদিনে সভা থেকে মতুয়া-মহলে সিএএ, নাগরিকত্ব এই দুই বাণেই বিরোধীদের বিঁধলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ক্যা ক্যা বলে প্রতারণা করা হচ্ছে। এদের একবার সুযোগ দিলেই ঠাকুমার বাবা, ঠাকুরদাদার জন্ম তারিখ চাইবে। দিতে পারবেন? রাজ্য সরকার আপনাদের নাগরিক বলে দিয়েছে। রাজ্য সরকার উদ্বাস্তু কলোনিগুলিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দাঁড়িয়ে বলছি মতুয়ারা সকলে নাগরিক। আপনাদের কোনও প্রমাণপত্রের প্রয়োজন নেই। এনআরসি, এনপিআর করতে দেব না।’ মতুয়াদের উন্নয়নের স্বার্থেও রাজ্য সরকার অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করছে বলেও জানান তিনি। এর আগেই আমরা বাউরি সম্প্রদায়ের জন্য করেছি। মতুয়া উন্নয়নে বোর্ড তৈরি করেছি। ১০ কোটি টাকা মতুয়াদের উন্নয়নের স্বার্থে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আপনারা কমিটি তৈরি করলেই কাজ শুরু হবে।’ বনগাঁ তাঁর পুরনো জায়গা বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ বছর ধরে বড়মার চিকিত্সা করিয়েছেন বলেও দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। শ্রীশ্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষিত হবে বলে জানান মুখ্য মন্ত্রী । তিনি এও বলেন, ‘আমরা কথা দিলে কথা রাখি। আমরা বিজেপি পার্টি নয় যে ভোটের সময় কথা দিয়ে পালিয়ে যাব।’ ফের বিজেপিকে বহিরাগত বলে তোপ দাগেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাইরে থেকে আরএসএস নিয়ে এসেছে। তারা মতুয়াদের ধর্ম সম্পর্কে শেখাচ্ছে। হিন্দু ধর্ম কী তা স্বামী বিবেকানন্দের থেকে শিখব। তোমরা কোন হরিদাস? পাড়ায় পাড়ায় বহিরাগত দেখলে এফআইআর করবেন। না নিলে আমাদের কার্যালয়ে জানাবেন।’ রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসক-বিরোধী উভয়ের কাছে মতুয়াদের ভোট ব্যাংক যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সে কথা বলাই যায়।