নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনে অনড় কৃষকরা । সরকারের তরফে যে সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তা মানতে নারাজ কৃষক সংগঠনগুলি । এরপর কৃষক নেতাদের হওয়া বৈঠকে একাধিক বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । এবার কৃষকরা দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ জাতীয় সড়ক ও রাজস্থানের জাতীয় সড়ক অবরোধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে । এর পাশাপাশি দিল্লিতে অবরোধ করতে পারেন তাঁরা । মোদি সরকারকে কৃষি বিল প্রত্যাহার করতেই হবে। এর সঙ্গে কোনো আপস নয়। কঠোর মনোভাবে নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছেন দেশের অন্নদাতারা। গতকাল ‘সফল’ ভারত বনধের পর প্রতিবাদী কৃষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পঞ্চম দফার এই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। বুধবার কেন্দ্র ও কৃষকদের সঙ্গে ষষ্ঠ দফায় বৈঠকে বসার কথা ছিল। কিন্তু এদিনের কৃষক-সরকার বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। জানা গেছে, মঙ্গলবার কৃষকদের সঙ্গে দেখা করে অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, নয়া কৃষি আইন কোনভাবেই বাতিল করা হবে না। সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু কৃষকরা নিজেদের দাবিতে অনড় থাকায় মঙ্গলবারের বৈঠক ব্যর্থ হয়।বুধবার সরকারের পক্ষ থেক আন্দোলনকারীদের কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব দেওয়ার হবে বলে জানা গেছে। এই প্রসঙ্গে সর্বভারতীয় কৃষক নেতা হান্নান মোল্লা জানিয়েছেন, “প্রতিবাদী কৃষক ও সরকারের মধ্যে বুধবার কোনো বৈঠক হবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন বুধবার কৃষক নেতাদের একটি প্রস্তাব দেওয়া হবে। প্রতিবাদী কৃষক নেতারা সেই প্রস্তাব নিয়ে নিজেদের মধ্যে একটি বৈঠক করবেন।” জানা গেছে আইনের সংশোধনী নিয়ে কেন্দ্রের লিখিত প্রস্তাব পাওয়ার পরে সিঙ্ঘু সীমানায় নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসবেন কৃষকরা। মঙ্গলবার অমিত শাহের সাথে বৈঠকের শেষে ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের স্পোকপার্সন রাকেশ টিকাইত বলেন, “এদিনের সভাটি ইতিবাচক ছিল। সরকার আমাদের দাবির প্রতি নজর দিচ্ছে। বুধবার আমাদের কাছে একটি খসড়া আসবে। সেটি নিয়ে আমরা আলোচনায় বসব।”