শেষমেশ আসরে আসতেই হল প্রধানমন্ত্রীকে, অনীহা কাটাতে টিকা নেবেন মোদি!
টিকা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকেই! এই প্রশ্নের জেরেই তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও ভ্যাকসিন নিতে তীব্র অনীহা দেখা যাচ্ছে দেশজুড়ে। আর জেরে প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে গড়ে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার ভ্যাকসিন। একবার ভ্যাকসিনের ভায়াল খুলে ফেললে চার ঘণ্টার মধ্যে তা শেষ করতে হয়। সেটাই মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে মোদি সরকারের। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য ২টি ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র মাঠে মারা যাওয়ার জোগাড়। সংশয়ের দোলাচলে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচিতে পদে পদে হোঁচট খাচ্ছে মোদি সরকার। তাই শেষমেশ আসরে আসতেই হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সাধারণের আশঙ্কা কাটাতে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ কর্মসূচিতে তিনি নিজেই ভ্যাকসিন নেবেন। তবে তিনি একা নন, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য এবং পঞ্চাশোর্ধ্ব মুখ্যমন্ত্রীদের জন্যও টিকার আয়োজন করছেন মোদি। আজ নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীর টিকাপ্রাপক এবং কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। ভার্চুয়াল মাধ্যমে জানতে চাইবেন ভ্যাকসিনের ‘অনুভূতি’। পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রককেও এ ব্যাপারে প্রচার বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু মোদি নিজে কবে ভ্যাকসিন নেবেন? সেই দিনক্ষণ অবশ্য এখনও জানা যায়নি। এই মুহূর্তে প্রথম দফার টিকাকরণ চলছে। তালিকায় রয়েছেন প্রায় ৩ কোটি কোভিড যোদ্ধা। এখন যে হারে টিকাকরণ চলছে, তাতে এই পর্ব শেষ হতে জুলাই গড়িয়ে যাবে। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, প্রথম দফার পাশাপাশি দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে যেতে পারে। যদিও সবটাই নির্ভর করছে ভায়াল সরবরাহের উপর। এখনও পর্যন্ত সিরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেকের থেকে কেন্দ্র মোট ১ কোটি ৬৫ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন কিনেছে। বেশিরভাগ রাজ্যেই পাঠানো হয়েছে সিরামের ভ্যাকসিন। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, সময় মতো বাকি ডোজও কেনা হবে। অভাব হবে না। যদিও অভাব নয়, অনীহা সামাল দিতেই হিমশিম খাচ্ছে কেন্দ্র।