ভুয়ো আইএএস অফিসারের দ্বারা প্রতারিত হলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী৷ এদিন সকালেই কসবা এলাকা থেকে ভুয়ো আইএএস পরিচয় দেওয়া এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিস। এরপরই প্রকাশ্যে আসে যে এই প্রতারকের খপ্পরে পড়েছিলেন সাংসদও।১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি টিকাকরণ শিবির চলছিল। মঙ্গলবার সেখানেই প্রথম ডোজ নেন মিমি। তারপরেই জানা যায়, কলকাতা পুরসভার অনুমতি ছাড়াই সেখানে টিকাকরণ কর্মসূচি চলছিল। এমনকি বিষয়টি নিয়ে জানাজানি হতেই চক্ষু চড়কগাছ। মিমি চক্রবর্তীর কথায়, “মঙ্গলবার কসবার একটি ভ্যাকসিনেসন ড্রাইভ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল আমাকে। তৃতীয় লিঙ্গের কিছু মানুষ, রূপান্তরকামী, বিশেষভাবে সক্ষম কিছু মানুষ ও দুঃস্থদের ভ্যাকসিনেশনের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে। আমি টিকা নিলে তারা যদি আগ্রহী হয় সেই ভাবনা থেকে সেখানে যাওয়া।” কিন্তু এরপর টিকা নেওয়ার কোনও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং সার্টিফিকেট কোনও কিছুই না আসায় সন্দেহ হয় অভিনেত্রীর। তিনি বলেন, “আমার লোকেরা সেখানে গেলে বলা হয় তিনদিনের মধ্যে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। অথচ খোঁজ নিয়ে দেখা যায় যে যাদের যাদের টিকাকরণ হয়েছে তাদের নামই রেজিস্টার করা হয়নি। এরপরই পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং তাদের সাহায্যে গ্রেফতার করাই।” জানা গিয়েছে, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম দেবাঞ্জন দেব। সে নিজেকে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আইএএস অফিসার পরিচয় দিয়ে কাটাচ্ছিলেন। বাবা মনোরঞ্জন দেব অবসরপ্রাপ্ত আবগারি দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। গ্রেপ্তারের পর জানতে পেরেছে, উনি ভুয়ো অফিসার ছিলেন। ওরা সবাই ১২ই জুন ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন ওখানে।ওটা ভ্যাকসিন ছিল, নাকি অন্য কিছু? সেই নিয়ে রীতিমত ভয়ে রয়েছেন সবাই। স্থানীয় মানুষদের হিসাব অনুযায়ী ,এ পর্যন্ত এক হাজারের বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন।