দেশ

ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে পরিবর্তন হচ্ছে না, আশ্বাস কেন্দ্রের, তিনটি আইনই প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষকরা, ৭ ঘণ্টা বৈঠকের ফল শূন্য

কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের আশ্বাস দেন ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য অর্থাত্‍ এমএসপি ব্যবস্থায় কোনও বদল আনা হবে না। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বললেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র তোমর। ফের ৫ ডিসেম্বর আলোচনা টেবিলে মুখোমুখি বসবে কেন্দ্র ও কৃষকরা। যদিও এদিন বৈঠকের আগে কৃষকদের স্পষ্ট দাবি, শুধু ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে আশ্বাসে কাজ হবে না। তিনটি আইনই যতক্ষণ না প্রত্যাহার করা হচ্ছে, বিক্ষোভ চলবে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের সঙ্গে চতুর্থ দফার বৈঠকে বসেন কৃষকদের একটি প্রতিনিধি দল। তার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অম‌‌রিন্দর সিং। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কৃষকদের সমস্যা মিটিয়ে দিক কেন্দ্র, অমিত শাহকে আবেদন করেন তিনি। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য তো বটেই, এই বিক্ষোভের জেরে পঞ্জাবের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, শাহের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমে জানান তিনি। বুধবারই সাংবাদিক বৈঠক করে কৃষক নেতারা দাবি জানিয়েছেন, বিশেষ সংসদীয় অধিবেশন ডেকে তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিল করুক কেন্দ্র, নয়ত আন্দোলন থামবে না। অবরুদ্ধ হবে রাজধানীর রাজপথ। এদিন কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের আগে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘‌আমি আশাবাদী, রফাসূত্র মিলবে।’
কৃষক বিক্ষোভে ‘‌খালিস্তানি-মাওবাদী’‌ যোগের তত্ত্ব আউড়ে কড়া সমালোচনার মুখে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে ফের ‘‌টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’-এর তত্ত্ব সামনে আনলেন বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারি। আন্দোলন নিয়ে ‘‌নোংরা রাজনীতি’র মাঝেও ‘‌কালো’ কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষকরা। বিক্ষোভের জেরে দিল্লিতে ঢোকার প্রায় সবকটি রাস্তাই এখন অবরুদ্ধ।