ভালোবাসার টোপ দিয়ে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার এক। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের ভাতার গ্রামের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর সঙ্গে ফোনে পরিচয় হয় পেশায় টোটোচালক সাহের উদ্দিন চৌধুরীর। ফোনেই প্রেম জমে ওঠে। একবার দেখাও করে দু’জন। মেয়েটি ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি, ভালোবাসার মানুষটিই হয়ে উঠতে পারে ধর্ষক। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, বুধবার সন্ধ্যায় সাহের ওরফে রাজার ফোন পেয়ে তার সাথে দেখা করতে যায় প্রেমিকা। নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, সে সময় সাহেরের সঙ্গে তার এক বন্ধুও ছিল। নাবালিকাকে টোটোয় উঠতে বলে তার প্রেমিক। অভিযোগ, আমারুন এলাকার নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে প্রেমিক ও তাঁর বন্ধু মিলে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে। এরপর ওই স্কুলছাত্রীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ওই দুই যুবক। নির্যাতিতা কোনওক্রমে ভাতার-কাটোয়া রাস্তায় উঠে আসে। স্থানীয়দের নজরে পড়তেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এলাকাবাসী ও পুলিশের মিলিত প্রচেষ্টায় তাকে নিয়ে আসা হয় ভাতার হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন সে। ঘটনার পর খবর দেওয়া হয় নাবালিকার পরিবারকে। নির্যাতিতার মামা ভাতার থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। গ্রেফতার করা হয়রাজাকে।