জেলা

‘রিসিভার বেসড’ তদন্তে পুলিশের জালে অভিযুক্ত, উদ্ধার বহু মোবাইল-বাইক

দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার পুলিশ ‘রিসিভার বেসড’ তদন্তে নেমে ক্ষুদিরাম কলোনির বাসিন্দা উজ্জ্বল পরামাণিককে বুধবার গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উজ্জ্বলের বাড়িতে ছিল 60টি মোবাইল ফোন ও 16টি বাইক ৷ তা দেখেই কোকওভেন থানার পুলিশের চোখ কপালে ওঠে। তদন্তে মেলে সাফল্য ৷ আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশকর্মীরা বাইক লিফটিং ও মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছে তা জানতেই এই ‘রিসিভার বেসড’ তদন্তে নামেন। আসানসোল- দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট গঠিত হওয়ার পর আসানসোল ও দুর্গাপুর এই দুই মহকুমার 16টি থানা এলাকায় বাইক চুরি-সহ বিভিন্ন ছোটখাটো চুরির ঘটনা লাগাতার ঘটছিল। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে পুলিশের বিশেষ টিম এই অপরাধের মূল কারণ কী? এবং কাদেরকে পাকড়াও করলে এই ধরনের অপরাধ বন্ধ হবে, এমন ভাবনা শুরু করে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরীর নির্দেশে পরিকল্পনামাফিক রিসিভার বেসড তদন্তে নামে পুলিশ। অধিকাংশ ঘটনায় দেখা যায়, ড্রাগের নেশায় বা অন্যান্য মাদকদ্রব্যের নেশায় আসক্ত যারা, তারাই বেশিরভাগ এই চুরির ঘটনাগুলির সঙ্গে জড়িত। তাই পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত গ্রেফতার হওয়া নেশাগ্রস্ত চোরদের প্রথমেই পাঠানো হতে থাকে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে। সেখানেই তাদেরকে রাখা হয় দীর্ঘদিন। পুলিশের উদ্দেশ্য সাময়িক তাদেরকে সংশোধনাগরে রেখে এই ধরনের চুরি বন্ধ করা যাবে না। তাই তাদেরকে নেশা মুক্ত করতে পারলেই এই চুরি চিরতরে বন্ধ হবে। কোকওভেন থানার পুলিশের এই সাফল্য নিয়ে গতকাল, বড়দিনের সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে এমন কথাই জানান ডিসিপি পূর্ব অভিষেক গুপ্তা। কোকোওভেন থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, বুধবার ক্ষুদিরাম কলোনির দুর্গামন্দির সংলগ্ন এলাকা থেকে উজ্জ্বল পরামাণিক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তর বাড়ি থেকে 60টি মোবাইল, 16টি বাইক উদ্ধার করে পুলিশ। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ(পুর্ব) অভিষেক গুপ্তা জানান, এই উজ্জ্বল পরামাণিক আসলে একজন রিসিভার। চুরির বাইক, মোবাইল-সহ বিভিন্ন দামি জিনিসপত্র কিনে অন্য গ্রাহকদেরকে কম দামে বিক্রি করাই তার আসল কাজ। বৃহস্পতিবার উজ্জ্বল পরামাণিককে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে তোলা হবে। তাকে জেরা করে এবার পুলিশের লক্ষ্য কারা, কোথা থেকে, কীভাবে এই বাইক এবং মোবাইলগুলি তার কাছে নিয়ে আসত।