উন্নয়নকে কখনওই রাজনীতির চোখ দিয়ে দেখা উচিত নয়। যখন দেশের উন্নতির প্রসঙ্গ সামনে আসে, তখন মতাদর্শগত পার্থক্যকে দ্বিতীয় সারিতে রেখে দিতে হয়। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানে একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, দেশ বর্তমানে এমন একটা পথে এগিয়ে চলেছে, যেখানে ধর্মের ভেদাভেদ সরিয়ে রেখে প্রত্যেকের জন্য সাংবিধানিক অধিকার ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা যাচ্ছে। কোনও সম্প্রদায়কেই দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব সরিয়ে রেখেই সরকারের যোজনাগুলিকে গরিবদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “যে ধর্মেই আমরা জন্মগ্রহণ করি না কেন, আমাদের আশা আকাঙ্খা কীভাবে জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে, সেটাই দেখতে হবে। সমাজে মতাদর্শগত ভেদাভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু যখন দেশের উন্নয়নের প্রসঙ্গ আসে, তখন বাকি সবকিছু দ্বিতীয় সারিতে চলে যাওয়া উচিত।” প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, “গত শতাব্দীতে বহু সময় মত পার্থক্যের জন্য কেটে গিয়েছে। আর সময় নষ্ট করা উচিত নয়।” এএমইউ-র যে পড়ুয়ারা হস্টেলে থাকেন, তাঁদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর আবেদন, তাঁরা অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্বন্ধে গবেষণা করুন। যাঁদের নাম জানা যায় না, সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম প্রচারের আলোয় নিয়ে আসুন। পরের বছর স্বাধীনতার 75 বছর। সেই উপলক্ষে এটা করা উচিত বলে প্রধানমন্ত্রী মত।