দেশ

বিরোধী মতামতকে গুরুত্ব দিন, মণিপুর ঘটনা নিয়েও বিজেপি সরকারকে তোপ, মোদিকে রাজধর্ম পালনের বার্তা সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবতের

‘নির্বাচন শেষ হয়েছে। এখন রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ভুলে দেশ গঠনে মনযোগ দেওয়া উচিৎ সকলের।’ মোদি সরকারকে এমনই বার্তা দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। এক্ষেত্রে তাঁর বার্তা, ‘প্রতিযোগিতা মানে যুদ্ধ নয়। মোদি সরকারকে রাজধর্ম পালনের বার্তা সঙ্ঘপ্রধানের। ‘এখনও জ্বলছে মণিপুর, এতে কে নজর দেবে? গুরুত্ব বুঝে ব্যবস্থা নেওয়াই কর্তব্য’, মণিপুরের অশান্তি বন্ধে মোদি সরকারকে বার্তা মোহন ভাগবতের । ’ বিরোধী মানেই শত্রু নয়, সবাই নিয়ে চলার বার্তা সঙ্ঘপ্রধানের। তিনি এও বলেন বিরোধী শিবিরকেও সমান গুরুত্ব দিক সরকার। গত কয়েক বছর ধরে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। ‘ভোটে লড়াই হবে, কিন্তু সবাইকে নিয়ে চলাই আমাদের রীতি’, নাম না করে মোদি সরকারকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে চলার সওয়াল মোহন ভাগবতের। নাগপুরে সংঘের সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, “নির্বাচন হল ঐকমত্য গড়ে তোলার একটি প্রক্রিয়া। সংসদে দুটি দিক রয়েছে একটি শাসক ও অন্যটি প্রতিপক্ষ। সেখানে যে কোনও প্রশ্নের উভয় দিক বিবেচনা করা হয়। যাতে আমরা সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছই। আমি বিরোধী পক্ষ বলি না, আমি বলি প্রতিপক্ষ। প্রতিপক্ষ বিরোধী নয়। তাদের বিরোধী মনে করাও উচিত নয়।” নয়া সরকারকে বার্তা দিয়ে তিনি আরও বলেন, “এক জন প্রকৃত সেবক তিনিই হন যিনি কোনও অহংকার ছাড়াই কাজ করেন। তখনই তিনি নিজেকে সেবক বলার অধিকারী হন।”বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, সিবিআই, ইডি, আয়কর দপ্তরের মতো একের পর এক কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কুক্ষিগত করে নিজেদের স্বার্থে তা বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে বিজেপি। ভোটের আগে ফ্রিজ করা হয়েছে কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট। জেলে পোরা হয়েছে বিরোধী শিবিরের বহু নেতৃত্বকে। জনমানসে ভাবমূর্তি নষ্ট করতে তলব করা হয়েছে বিরোধী নেতাদের। শুধু তাই নয়, সংসদের অন্দরেও সংখ্যার জোরে কানে তোলা হয়নি বিরোধীদের কথা। এহেন পরিস্থিতির মাঝে এই বার্তায় রাজনৈতিক মহলের দাবি, নতুন সরকার যাতে অতীতের দম্ভ ও একনায়ক মানসিকতা ছেড়ে যাতে গণতন্ত্রের মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেয় সেই বার্তাই দিলেন আরএসএস প্রধান। এহেন পরিস্থিতিতে নয়া সরকারকে আরএসএস প্রধানের এই বার্তা নিশ্চিতভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ।