লখনউ সুপার জায়ান্টস: ২০৩/৮ (মার্শ-৬০, মারক্রাম-৫৩, হার্দিক- ৩৬/৫)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৯১/৫ (সূর্যকুমার-৬৭, নমন-৪৬)
১২ রানে জয়ী লখনউ সুপার জায়ান্টস
প্রত্যাশার চাপে যেন জর্জরিত ঋষভ পন্থ। আবারও ব্যাট হাতে ব্যর্থ তিনি। তবে শুক্রসন্ধ্যায় সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে স্বস্তি দিচ্ছে ঘরের মাঠে লখনউয়ের জয়টাই। কিন্তু ম্যাচ হারলেও এদিন ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জিতে নিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। চাপের মুখে দুরন্ত ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতে আইপিএলে গড়লেন নজির। তবুও হয়তো খানিক হতাশই হবেন তিনি। কারণ দুর্দান্ত লড়াই করেও জয় অধরাই থেকে গেল মুম্বইয়ের। শুক্রবার চোটের জন্য লখনউয়ের বিরুদ্ধে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবেও খেলতে পারেননি রোহিত শর্মা। জশপ্রীত বুমরাহর ফেরার দিনক্ষণও এখনও ঠিক হয়নি। তবে জেতার জন্য পরিশ্রমের কোনও খামতি রাখেননি হার্দিক। টস জিতে প্রথমে লখনউকে ব্যাট করতে পাঠিয়ে হাত ঘুরিয়ে তুলে নেন পাঁচটি উইকেট। আর সঙ্গে সঙ্গে আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ক্যাপ্টেন হিসেবে পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির গড়েন। অবশ্য তার আগেই লখনউয়ের ওপেনিং জুটি জাঁকিয়ে বসেছিল উইকেটে। মিচেল মার্শ ও এডেন মারক্রামের দুরন্ত পার্টনারশিপেই ছুটতে থাকে লখনউ। নিকোলাস পুরান (১২) এবং পন্থ (২) দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরলেও দলকে বড় রানের দিকে এগিয়ে দেন আয়ুশ বাদোনি (৩০) এবং ডেভিড মিলার (২৭)। পন্থ ফের ব্যর্থ হতেই এদিন সোশাল মিডিয়া জুড়ে কেএল রাহুলকে ফিরিয়ে আনার রব উঠেছিল। যে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা নিলাম টেবিলে কিচ্ছুটি না ভেবে পন্থকে পেতে সটান ২৭ কোটি হেঁকেছিলেন, তাঁর কপাল থেকেও যেন চিন্তার ভাঁজ যাচ্ছে না। কারণ তিনিও জানেন, টুর্নামেন্ট যত এগোবে, পন্থ ফর্মে না ফিরলে চাপে বাড়বে দলেরই। তবে এম স্কোয়ার এবং বোলারদের সৌজন্যে এ যাত্রায় মানরক্ষা হল পন্থের। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে এদিন প্রত্যাশিতভাবেই প্রত্যাবর্তন ঘটে বাংলার পেসার আকাশ দীপের। একটি উইকেট তুলে নেন তিনি।