আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বচ্ছ তদন্তের দাবিকে কর্মবিরতি শুরু করলেন সেখানকার PGT চিকিৎসকরা। শুক্রবার দুপুর থেকে হাসপাতালের জরুরি পরিষেবা ছাড়া সমস্ত বিভাগে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা। চিকিৎসকদের অভিযোগ, যে ভাবে দেহ উদ্ধার হয়েছে তাতে স্পষ্ট যে ওই মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ আরজি কর মেডিক্যালের এমারজেন্সি বিল্ডিংয়ের সেমিনার হল থেকে দ্বিতীয় বর্ষের স্নাতকোত্তর ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহ পাওয়া যায়। নিহত চিকিৎসকের বাড়ি সোদপুরে। নিরাপত্তারক্ষীরা প্রথমে দেহটি দেখতে পান। তাঁরাই অন্য চিকিৎসকদের খবর দেন। চিকিৎসকরা এসে দেখেন নিহত চিকিৎসকের পোশাক ছেঁড়া। নিম্নাঙ্গে কোনও পোশাক ছিল না তাঁর। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান নগরপাল বিনীত গোয়েল। পৌঁছয় ফরেন্সিক দল। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি, একজন মহিলা চিকিৎসককে হাসপাতালের মধ্যে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর সেটাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। বিভাগীয় তদন্তের নাম করে সব কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। আন্দোলনরত এক চিকিৎসক বলেন, এই ঘটনার পর অধ্যক্ষের ভূমিকা সন্দেহজনক। উনি কেন মৃতদেহ উদ্ধারের সময় এলেন না? কেন বিভাগীয় তদন্তের নামে সব কিছু ঢাকার চেষ্টা চলছে? আমরা এই ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত ও দোষীদের গ্রেফতারি চাই। যতক্ষণ না পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করছে ততক্ষণ কর্মবিরতি চলবে। ওদিকে এই ঘটনায় দোষীরা গ্রেফতার না হলে শুক্রবার বিকেলে আরজি কর হাসপাতালে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন।