আন্দোলনের নামে গুন্ডামি। বেশিরভাগজনকে দেখে মনে হয় না তাঁরা পড়ুয়া। কারও পক্ককেশ জানান দিচ্ছে, প্রৌঢ়ত্বের সীমায় এসে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ছাত্র সমাজের মিছিলে দেখা মিলল এদেরই। আর তাঁদেরই গুন্ডামিতে অতিষ্ট হলেন শহরবাসী। পুলিশ সহজেই উদ্দেশ্যহীন আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণ করল। কার্যত মুখ পুড়ল বিজেপির। ২৭ আগস্ট, পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সমাবশ-মিছিলের ঘোষণার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল, কারা এই পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ? বামেরা আগেই জানিয়েছে এই মিছিলের সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। ছাত্র সমাজের এই সমাবেশ-অভিযানের দুই উদ্যোক্তা গতকাল নিজেদের বিজেপি-আরএসএস যোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। নবান্ন অভিযানের আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয় পুলিশের পক্ষও থেকে। গার্ডরেল, ব্যারিকেড দিয়ে রীতিমত ঘিরে ফেলা হয় নবান্ন অভিমুখের রাস্তা। ক্রেন দিয়ে কন্টেনার নামানো হয় রাস্তায়। নবান্ন অভিযানের ঠিক আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তবে বেলা বাড়তেই উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ বারবার শান্তিপূর্ণ মিছিলের আর্জি জানালেও, ছাত্র সমাজের ডাকা মিছিলর জমায়েত আচমকা ঝাঁকুনি শুরু করে গার্ডরেল-ব্যারিকেড ধরে। একে একে সরিয়ে ফেলা হয় ব্যারিকেড। শুধু ব্যারিকেড ভাঙাই নয়, উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে। চতুর্দিকে একপ্রকার দুষ্কৃতী-তাণ্ডব চলতে থাকে। রাস্তায় পুরসভার তৈরি করা পার্কেও ভাঙচুর চলেছে বলে খবর। আন্দোলনকারীদের ছোঁড়া ইটে মাথা ফাটে সিআই চণ্ডীতলার। রক্তাক্ত হন র্যাফের এক সদস্যও। এছাড়াও বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। হাওড়া ব্রিজেও পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে উত্তেজিত জনতা। এছাড়াও ধর্মতলা, এমজি রোড-সহ শহরের একাধিক জায়গায় রাস্তা জুড়ে কার্যত তান্ডব চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ জলকামান-কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে, লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়।