কলকাতাঃ গতকাল নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে বাংলায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলায় রাজ্য সরকার উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন যে টেস্ট বাড়ছে সেই কারণে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া সংক্রমণ-তথ্য, স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট, বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ, স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র, কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা এবং এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিংহ। তার পরই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্র সচিব। রাজ্য সপ্তাহের বৃহস্পতি ও শনিবার এবং আগামী সপ্তাহের বুধবার সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছেন সময় সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আজকে জারি করা হল সেই নির্দেশিকা। তবে লকডাউনে যেসমস্ত জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে ছাড় মিলবে, তার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীদের নিয়ে বেসরকারি এবং ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত করা যাবে।খোলা থাকবে ওষুধের দোকান। আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। আদালত, সংশোধনাগারে পরিষেবা ও দমকল লকডাউনের বাইরে রয়েছে। বিদ্যুৎ, জল, জঞ্জালের মত জরুরি পরিষেবা অব্যাবত থাকবে। ই-কমার্সকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ভিতরে ও আন্তরাজ্য পরিবহণে ছাড় রয়েছে। খোলা থাকবে কৃষিক্ষেত্র ও চাবাগান। মুদ্রণ, বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম ও স্যোশাল মিডিয়া লকডাউনের আওতার বাইরে। রান্না করা খাবারের হোম ডেলিভারিকেও লকডাউনের আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। দেখে নিন নবান্নের সেই নির্দেশিকা –