স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে রোগীদের নানা সময়ে হেনস্তা করে থাকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল। রোগীদের স্বার্থে এবার পাল্টা নতুন গাইডলাইন নিয়ে এসে হাসপাতালগুলিকে চাপে ফেলে দিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘স্বাস্থ্যসাথী’। এই প্রকল্প নিয়েই নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। নয়া এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালের জন্য। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চিকিৎসা শুরুর আগে রোগীকে রেফার করা হলে বা রোগীর মৃত্যু হলে বেসরকারি হাসপাতাল ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্যাকেজের পুরো টাকা পাবে না। জানা গিয়েছে, অস্ত্রোপচার ব্যর্থ হলে বেসরকারি হাসপাতাল পাবে শুধু মাত্র ইমপ্ল্যান্টের খরচ এবং প্যাকেজের ৩০ শতাংশ টাকা। অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে পরে যদি মনে হয় অস্ত্রোপচার সম্ভব নয় তাহলে ৩৫ শতাংশ টাকা বরাদ্দ হবে। আর আংশিক অস্ত্রোপচার হলে মিলবে ৫০ শতাংশ টাকা। ৫০ শতাংশ টাকা মিলবে অস্ত্রোপচার চলাকালীন সময়ে রোগীর মৃত্যু হলে। তবে অস্ত্রোপচারের আগেই রোগীর মৃত্যু হলে মিলবে ২৫ শতাংশ টাকা। বিনা পরীক্ষা বা চিকিৎসা না করেই রেফার করা হলে বেসরকারি হাসপাতাল কোনও টাকাই পাবে না। কিডনি ও গলব্লাডারের পাথর যদি পুরোপুরি ভাবে বের না করতে পারে হাসপাতাল, তবে ওই হাসপাতাল পাবে ৬০ শতাংশ টাকা। আবার, অপারেশনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অসুস্থ ব্যক্তির মৃত্যু হলে ৭০ শতাংশ টাকা মিলবে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার আগেই রোগীর মৃত্যু হলে মিলবে ৮৫ শতাংশ টাকা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসা সম্পূর্ণ শেষ করার আগেই রোগীকে রেফার করলে মিলবে ৫০ শতাংশ টাকা। মনে করা হচ্ছে, এতে রোগী পরিষেবার মান বাড়বে। এর ফলে বেসরকারি হাসপাতালগুলি আরও সহানুভূতিশীল হবে। নবান্ন আগেই কড়া অবস্থান নিয়ে জানিয়েছিল, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ না করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।