নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ‘পরিকল্পিত হামলা’ হয়েছে- তৃণমূলের এই অভিযোগ স্বীকার করল না নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নিরাপত্তায় যে বিস্তর গাফিলতি ছিল, তা স্পষ্টতই মেনে নিল তারা। যার পরবর্তী পদক্ষেপই হল রাজ্য তথা জেলার তিন প্রশাসনিক কর্তার অপসারণ। সূত্রের খবর, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ অপসারণ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ডিরেক্টর সিকিউরিটি বিবেক সহায়কে৷ একই সঙ্গে অপসারণ করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েল এবং পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশকে৷এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অন্যান্য যে অফিসারদের কর্তব্যে গাফিলতি ছিল, তাঁদের চিহ্নিত করেও শাস্তি দেওয়া হবে৷ এর জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি-র নেতৃত্বে গড়া কমিটিকে তিন দিন সময় দিয়েছে কমিশন৷ পাশাপাশি নন্দীগ্রাম সহ দুই থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে৷ কমিশনের জারি করা বিবৃতি অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুরের নতুন জেলাশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্মিতা পান্ডে এবং পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুনীল কুমার যাদবকে৷ পাশাপাশি বিবেক সহায়ের পরিবর্তে নতুন নিরাপত্তা অধিকর্তা হিসেবে অবিলম্বে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷