নারদা মামলায় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর আবেদনে মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট। নারদা মামলায় নিজাম প্যালেসে অশান্তি ও ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আইনমন্ত্রীর উপস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারকে পার্টি করে সিবিআই। সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্টে নারদা মামলায় হলফনামা জমা দিলে তাকে মান্যতা দেয় আদালত। নারদকাণ্ডে হলফনামা জমা না নেওয়া সংক্রান্ত মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ফেরত পাঠাল শীর্ষ আদালত। আগেই কলকাতা হাইকোর্টে এই হলফনামা দিলে তা গ্রহণ করেনি, তাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মলয় ঘটক। আজ সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও ইন্দিরা ব্যানার্জীর বেঞ্চের নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছে এই মামলা।সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে নারদা মামলার শুনানি চলছে। এই হলফনামার শুনানি সেই বেঞ্চে যাবে কিনা তা আগে বিচার করতে হবে। এদিন আদালতের তরফে এও জানানো হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টে নতুন হলফনামা জমা দিতে হবে, আগামী ২৮ তারিখের মধ্যে আবেদনের অগ্রিম কপি জমা দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকে। ২৯ তারিখ কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি রয়েছে নারদা মামলার। সূত্রের খবর, আবেদন করলেই সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর শুনানি শুরু হতে পারে আগে। হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর করা আবেদনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে নোটিশও পাঠিয়ে দিতে হবে। অর্থাত্ নারদা মামলায় সিবিআই-এর চালকে বাজিমাত করতে পাল্টা যে অস্ত্র মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী সাজিয়েছিলেন, তাকে মান্যতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনের শুনানি থেকে সরে দাঁড়ান এক বিচারপতি। তারপরেই আজ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চে মামলা উঠতেই তাঁকে মান্যতা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বিনীত শরণ ও বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর নতুন বেঞ্চ তৈরি করে শুনানি হয়। এরপর নারদ মামলার শুনানিতে বিচারপতিরা জানান, কলকাতা হাই কোর্টকে এই হলফনামা গ্রহণ করতে হবে। নতুন করে হলফনামা পেশ করতে হবে এবং তার রেকর্ড রাখতে হবে।