১০ দিন ধরে উদ্ধারের কাজ চলার পর বুধবার বিকেলে তাকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় থানার আধিকারিক মহাবীর সিং ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাকে অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ হাসপাতালের আধিকারিক ডাঃ চৈতন্য রাওয়াত জানান, ১০ দিন ধরে কুয়োয় আটকে থাকার ফলে মৃত্যু হয়েছে 3 বছরের চেতনার ৷ তিনি বলেন, “তাকে (চেতনা) আনার পর সঙ্গে সঙ্গে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ একটা স্পেশাল বেড তার জন্য আগেভাগেই রাখা হয়েছিল ৷ চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখে নিশ্চিত করেন যে শিশুটি আর বেঁচে নেই ৷ কালেক্টরের নির্দেশ মেনে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে ৷” গত ২৩ ডিসেম্বর কুয়োর ১৫০ ফুট গভীরে পা পিছলে পড়ে গিয়েছিল বছর তিনেকের চেতনা ৷ খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার অভিযানে নামে এনডিআরএফ ৷ ২৪০ ঘণ্টা একটানা অন্ধকার সুড়ঙ্গে আটকে থাকার পর তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য জেলার বিডিএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ এই প্রসঙ্গে ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর কল্পনা আগরওয়াল তখন বলেছিলেন, “শিশুটিকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে ৷ সে এখন হাসপাতালে ৷ শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বোঝা যাবে, সে কেমন আছে ৷” কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হল ৷ চেতনার জ্ঞান আর ফিরল না ৷ এর আগে এদিনই কালেক্টর জানিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই চেতনাকে বের করে আনা হবে ৷ তিনি বলেন, “উদ্ধারকারী দল ১৭০ ফুট গভীর একটি টানেল খুঁড়েছে ৷ চেতনা কোথায় আটকে আছে, তা খুঁজে পেয়েছে ৷ মেয়েটিকে খুব শীঘ্রই বের করে আনা হবে ৷ ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুল্যান্স এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ৷” বিডিএম হাসপাতালের সামনেও কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে ৷ সেখানে সকাল থেকেই ছিলেন, ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর, এসপি, প্রশাসনের উচ্চস্তরীয় কর্তারা ৷