কলকাতা ক্রাইম

গল্ফগ্রিনে মহিলাকে গলা কেটে খুনের ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃতার ভাইপোকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ

 গল্ফগ্রিনে তরুণীকে খুনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃতার ভাইপোকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।  পুলিশের দাবি, জেরায় আপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত। টাকাপয়সা নিয়ে বচসার জেরেই ওই তরুণীকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম সাবির আলি (৩৮)। সে হরিদেবপুরের বাসিন্দা। তাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সাবির ঋণ পরিষোধের জন্য ওই মহিলার কাছ থেকে টাকা ধার চায়। কিন্তু মহিলা তাকে টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এরপরই তাঁদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ক্রমে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। নিজেকে বাঁচাতে ওই তরুণী তড়িঘড়ি রান্নাঘর থেকে একটি ছুরি নিয়ে আসেন। কিন্তু সাবির তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং মহিলার হাত থেকে ছুরি কেড়ে নেয়। এরপরই রাগের মাথায় সে ওই ছুরি দিয়েই তরুণীকে কোপায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। বুধবার সন্ধ্যায় গল্ফগ্রিনের রাজেন্দ্র প্রসাদ কলোনির একটি ফ্ল্যাটে খাটের তলা থেকে উদ্ধার হয় ওই মহিলার দেহ। মৃতার নাম নাফিসা খাতুন (৩১)। স্বামীকে ছেড়ে তিনি মায়ের সঙ্গে থাকতেন। গল্ফগ্রিন থানার উল্টোদিকে ওই মহিলার মায়ের চায়ের দোকান রয়েছে। মহিলা সাউথ সিটি মলের এক রেস্তরাঁর কর্মী। সূত্রের খবর, এদিন সকাল ১১টা নাগাদ চায়ের দোকানে গিয়েছিলেন তরুণীর মা। কিন্তু মেয়েকে ফোন করলেও কোনও উত্তর পাচ্ছিলেন না। এদিকে দোকান ছেড়ে তিনি যেতেও পারছিলেন না। বিকেলের দিকে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে তিনি বাড়িতে যান। দেখেন, ফোনটি ফ্রিজের উপর পড়ে রয়েছে। তারপরেই চোখ যায় বিছানার দিকে। তিনি দেখতে পান, খাটের নীচে পড়ে রয়েছে মেয়ের দেহ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন গল্ফগ্রিন থানা, লালবাজারের হোমিসাইডের তদন্তকারী আধিকারিকরা। শুরু হয় তদন্ত। আজ, বৃহস্পতিবার খুনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত মৃতার ভাইপোকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।