কলকাতা

নেতাজি পরিবার আপত্তি, প্রধানমন্ত্রী সফরসূচি বদলে নেতাজি ভবনে একা আসলেন মোদি

নেতাজি ভবনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, রাজনৈতিক নেতা হিসাবে নয়, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অবশ্যই মোদিকে স্বাগত বলে জানানো হয়েছে

 প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছিল নেতাজীর ১২৫তম জন্মদিবসে কলকাতায় গিয়ে এলগিন রোডে নেতাজীর বাসভবনে শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় তাঁর সঙ্গে থাকবেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরাও। কিন্তু সেই প্রস্তাবে আপত্তি এল খোদ নেতাজীর পরিবার থেকেই। তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ সুগত বসু জানালেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও নেতা আসেননি শ্রদ্ধা জানাতে। মুখ্যমন্ত্রী একাই এসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সব সময়েই সাদরে আমন্ত্রীত। কিন্তু তাঁর সঙ্গেও যেন কোনও নেতা না আসেন।’ নেতাজীর পরিবার থেকে এহেন আপত্তি আসায় একদম শেষ মুহুর্তে বদল ঘটানো হল প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি। ঠিক হল এলগিন রোডে নেতাজীর বাসভবনে মোদি একাই যাবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই জানিয়েছিলেন, নেতাজীর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে তিনি আসবেন কলকাতায়। কিন্তু প্রথম থেকেই তাঁর সেই সফরসূচিতে ব্রাত্য ছিল এলগিন রোডে নেতাজির বাসভবন। তবে এদিন সকালেই একদম শেষ মুহুর্তে সেই সফরসূচিতে বদল আনা হয়। নতুন সংযোজন ঘটে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতে। জানানো হয় কলকাতায় গিয়ে এলগিন রোডে নেতাজির বাসস্থান নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর সদর দফতরে যাবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। এদিন দুপুর ৩টে ২৫ মিনিট নাগাদ সেখানে যাবেন তিনি। থাকবেন মিনিট ১৫। এরপর পরবর্তী কর্মসূচির উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেই সময় থাকার কথা ছিল কৈলাস ও শুভেন্দুর। কিন্তু সুগত বসু সেই নিয়েই আপত্তি তোলেন। তার জেরেই জানানো হয় মোদি নেতাজী ভবনে একাই যাবে। সেই কথা মতো এক প্রায় মিনিট ২০ নেতাজি ভবনে সময় কাটালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঘুরে দেখলেন নেতাজি মিউজিয়াম, শোয়ার ঘর, নেতাজি ব্যবহৃত গাড়ি। নেতাজি ভবন থেকে রাস্তায় বেরিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী। এলগিন রোডের উপর সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে হাত নাড়লেন তিনি। এরপর তিনি ন্যাশনাল লাইব্রেরি হয়ে পৌঁছে যাবেন ভিক্টোরিয়া।