লাল হলুদের কাছে এই ম্যাচ সম্মানরক্ষার হলেও নর্থ-ইস্টকে জিততেই হতো শেষ চারের জায়গা নিশ্চিত করতে। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের জোড়া গোল খালিদ জামিলের দলকে কার্যত পৌঁছে দিল শেষ চারে। সার্থক গোলুই আত্মঘাতী গোলের পর লাল হলুদের একমাত্র গোলটি করে ব্যবধান কমালেও এসসি ইস্টবেঙ্গল টানা দ্বিতীয় হার বাঁচাতে পারেননি। ড্যানি ফক্স, মাঘোমারা না থাকায় আজ লাল হলুদের রিজার্ভ বেঞ্চের অনেকেই প্রথম একাদশে জায়গা করে নেন। প্রথম একাদশে আটটি পরিবর্তন হয় এদিন। স্কট নেভিল নেতৃত্ব দেন। তিনকাঠির তলায় ছিলেন মিরশাদ। রফিক, বিকাশ জাইরু, অজয় ছেত্রী, জেজেদের প্রথম একাদশে রেখে সুযোগ দেন সহকারী কোচ গ্র্যান্ট। প্রথমার্ধে কোনও গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে তেড়েফুঁড়ে গোলের জন্য ঝাঁপায় নর্থ-ইস্ট। ৮ মিনিটের ব্যবধানেই দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে লাল হলুদ। ইমরান খানের থ্রু বল লাল হলুদ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে চলে যায় ভিপি সুহেরের কাছে, বাঁ পায়ের শটে গোল করতে দেরি করেননি সুহের। এর মিনিট পাঁচেক পরেই দুরন্ত গতিতে ধেয়ে আসা গোলমুখী ব্রাউনের শট দারুণভাবে বাঁচিয়ে দেন মিরশাদ। কিন্তু লাল হলুদকে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে দেয় আত্মঘাতী গোল। নিম দরজির শট পন্মুক্ত করতে গিয়ে লাল হলুদ ডিফেন্ডার সার্থক গোলুই আত্মঘাতী গোলটি করে বসেন। ৭০ মিনিটে এসসি ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা আরও বাড়ে ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড তথা লাল কার্ড দেখে রাজু গায়কোয়াড় বেরিয়ে যেতেই। ৮৬ মিনিটে সার্থক গোলুই গোল করে ব্যবধান কমান। তবে এরপর কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেও ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারেনি লাল হলুদ।