কলকাতা

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত হল নতুন অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার এক মাস কেটে গিয়েছে । এ বার নতুন অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি গঠন করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । বেশ কয়েক জনকে আগের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে । ইউজিসির নিয়ম মেনে নয়া কমিটিতে রয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও থানার প্রতিনিধিরাও । এছাড়াও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রধান সমরকুমার মণ্ডলকেও রাখা হয়েছে নতুন কমিটিতে ।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুতে উঠে এসেছে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ । ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন না কোনও উপাচার্য । তবে গত কয়েকদিনের এই চাপানউতোরের মধ্যেই দায়িত্ব গ্রহণ করেন বুদ্ধদেব সাউ । তিনি নিজেও পুরনো অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির সদস্য ছিলেন । তবে উপাচার্য হওয়ার দরুণ নতুন এই কমিটির চেয়ারম্যান পদে এলেন বুদ্ধদেব সাউ । উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের পরই বৈঠক করে এই কমিটি পরিবর্তন করে নতুন কমিটি গঠন করার কথা শোনা গিয়েছিল অন্তর্বর্তী উপাচার্যের মুখে । তিনি বলেছিলেন, অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটিতে আমরা কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে ঢোকাব, কারণ তাতে সামাজিক বিভিন্ন দিক উঠে আসবে । ইউজিসির নিয়ম মেনে নতুন ওই কমিটিতে রয়েছেন দক্ষিণ বিধাননগর থানা এবং যাদবপুর থানার একজন করে প্রতিনিধি । এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার একজন প্রতিনিধিও রয়েছেন কমিটিতে । একজন কাউন্সিলর এবং অভিভাবক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের একজন করে কমিটিতে রাখা হয়েছে । অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি গঠন করার পরেই বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিটির সদস্যদের । সেখানে বলা হয়েছে, নতুন বর্ষের ছাত্রভর্তির সময় বা ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় বা হস্টেলে কেউ র‍্যাগিংয়ের সম্মুখীন হলে, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে তাঁদের সেই বছর পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। অর্থাৎ অভিযুক্ত পড়ুয়ার ওই শিক্ষাবর্ষটি নষ্ট হবে । এরই সঙ্গে, নির্দেশে বলা হয়েছে, অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির সদস্যদের ফোন সারাক্ষণ খোলা রাখতে হবে । মাঝে মধ্যেই তাঁদের হস্টেল পরিদর্শন করতে হবে । তবে নতুন এই কমিটি নিয়ে নানা মত শোনা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে । গত অগস্টে তৈরি হওয়া ওই কমিটিতে থাকা বহু অধ্যাপকের নাম মাত্র এক মাসের মধ্যেই বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে । এ ভাবে সেই শিক্ষককে অসম্মান করা হয়েছে বলে মনে করছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা ।