জেলা

রাজ্যের মন্ত্রী ওপর হামলার কান্ডে তৈরি হল সিআইডির সিট, নিমতিতা স্টেশনে নেই সিসি ক্যামেরা

রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেনের ওপর হামলার ঘটনার তদন্তে এডিজি সিআইডি অনুজ শর্মার নেতৃত্বে তৈরি হল একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট)। বৃহস্পতিবার এবিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার সিআইডির ২৫ জনের একটি দল নিমতিতা স্টেশনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সিআইডির সদর দপ্তর ভবানী ভবনে কর্মরত বিভিন্ন বিভাগের অফিসার ছাড়াও এই দলে ছিলেন মুর্শিদাবাদ সিআইডির অফিসার ও কর্মীরা। সিআইডির স্পেশাল আইজি-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে ছিলেন। কথা বলেন রেল পুলিশের সঙ্গে। এদিন হাওড়ার রেলপুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট ছাড়াও ডিআইজি নিজেও ঘটনাস্থলে যান। আহত মন্ত্রীকে দেখতে বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, শুনেছি রিমোট কন্ট্রোলে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। জাকিরকে খুন করার লক্ষেই পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। রেলপুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে ডাউন তিস্তা তোর্ষা এক্সপ্রেস ধরতে জাকির হোসেন যখন তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে ২/৩ প্ল্যাটফর্মে ঢুকছিলেন তখনই এই বিস্ফোরণ হয়। মন্ত্রী ছাড়াও ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর ২০ জনের কাছাকাছি সঙ্গী। মন্ত্রীর বাঁ পায়ে আঘাত লাগে। চিকিত্‍সার প্রয়োজনে তাঁকে কলকাতায় আনা হয়েছে।
সিআইডির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যদিও কী ধরনের বিস্ফোরক এই ঘটনাতে ব্যবহার করা হয়েছে তা নমুনা পরীক্ষা না করে বলা সম্ভব নয়, কিন্ত আহতদের সঙ্গে কথা বলার পর আমরা একটা বিষয়ে প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারছি, বাইরে থেকে কিছু ছোড়া হয়নি। বিস্ফোরক প্ল্যাটফর্মে ব্যাগেই রাখা ছিল। যেটা সরাতে গিয়েই ফেটে যায় এবং এই ঘটনা ঘটে। যদিও এখনও অনেক তদন্তই বাকি। সেইসঙ্গে আরেকটা জিনিসও আমাদের ভাবাচ্ছে যে বুধবার ওই স্টেশনে রেলের একটি অনুষ্ঠান ছিল। যার জন্য নিরাপত্তা কর্মীরাও সংখ্যায় বেশি ছিলেন। ফলে কেউ যদি ব্যাগটা রেখেও থাকে তবে কারোর নজরে এল না কেন? আবার এমনও হতে পারে রাতে স্টেশন চত্বর ফাঁকা হয়ে যাওয়ার পর মন্ত্রী আসার একটু আগে কেউ ব্যাগটা রেখে যেতে পারে। রেলপুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, নিমতিতা স্টেশনে কোনও সিসি ক্যামেরা নেই। ফলে ঘটনার আগে বা পরে ঠিক কী হয়েছিল তা চাক্ষুষ করা সম্ভব নয়।