মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে আচমকাই নাটকীয় মোড়। বিদ্রোহী এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার সেনা-বিজেপি জোট সরকারে সামিল হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই শিবসেনার দুই গোষ্ঠীর বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ ইস্যুতে নড়েচড়ে বসলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ রাহুল নারভেকর। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সহ শিবসেনার শিন্ডে গোষ্ঠীর ৪০ বিধায়ক এবং উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের ১৪ বিধায়কের কাছে সদস্যপদ খারিজ নিয়ে জবাব তলব করলেন তিনি। জবাব সন্তোষজনক না হলে ৫৪ বিধায়কের সদস্যপদই খারিজ করে দিতে পারেন অধ্যক্ষ। আর সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নিতে হবে একনাথ শিন্ডেকে। গত বছর জুলাইতে ভাঙন ধরেছিল বাল ঠাকরে প্রতিষ্ঠিত শিবসেনায়। দলের সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন একনাথ শিন্ডে। তার সঙ্গে গিয়েছিলেন শিবসেনার ৩৯ বিধায়ক। আর বাকি ১৭ বিধায়ক দলের সুপ্রিমোর সঙ্গেই রয়ে গিয়েছিলেন। দলত্যাগী বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজের দাবি জানিয়ে মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছিল উদ্ধব শিবির। পাল্টা উদ্ধব গোষ্ঠীর সঙ্গে থাকা বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল শিন্ডে সেনা। মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টেও। যদিও বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার বিধানসভার অধ্যক্ষ রাহুল নারভেকরের হাতেই ছেড়েছিল শীর্ষ আদালত। তার পরে দু’মাস কেটে গেলেও এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করেননি বিধানসভার অধ্যক্ষ। কিন্তু গত রবিবার অজিত পওয়ার এনসিপি ছেড়ে সেনা-বিজেপি জোট সরকারে সামিল হওয়ার পরেই আচমকা সেনা বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ নিয়ে পদক্ষেপের পথে হাঁটেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। শনিবার সাংবাদিকদের বিধানসভার অধ্যক্ষ জানান, শিন্ডে সেনার ৪০ এবং উদ্ধব সেনার ১৪ বিধায়কের কাছে সদস্যপদ খারিজ নিয়ে জবাব তলব করা হয়েছে। ওই জবাবের পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।