কলকাতা জেলা দেশ

আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে ওড়িশার সিমলিপাল জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হল বাঘিনী জিনাতকে

মঙ্গলবার রাতেই আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে ওড়িশার সিমলিপাল জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হল বাঘিনী জিনাতকে৷ গত রবিবার দুপুরে বাঁকুড়ার জঙ্গলে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে ধরা হয়েছিল জিনাতকে৷ কয়েক মাস আগে মহারাষ্ট্র থেকে ওড়িশার সিমলিপালের জঙ্গলে নিয়ে আসা হয়েছিল বাঘিনী জিনাতকে৷ কিন্তু নতুন পরিবেশে যে কোনও কারণেই হোক, মন টেকেনি বাঘিনীর৷ সপ্তাহ দুয়েক আগেই সিমলিপালের জঙ্গল ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রামের দিকে চলে আসে জিনাত৷ ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে জিনাতের উপস্থিতি টের পাওয়ার পর থেকেই বাঘিনীকে ধরার চেষ্টা শুরু করে রাজ্য বন দফতর৷ যদিও সহজে ধরা দেয়নি জিনাত৷ ঝাড়গ্রাম থেকে আরও এগিয়ে পুরুলিয়ার জঙ্গলে আশ্রয় নেয় সে৷ পিছু নেয় বন দফতরও৷ যদিও ছাগল, মোষের বাচ্চার মতো বিভিন্ন টোপ দিয়ে ফাঁদ পাতলেও তা এড়িয়ে পালাতে থাকে বাঘিনী৷ শেষ পর্যন্ত বাঁকুড়ার জেলার জঙ্গলে প্রবেশের পর জিনাতকে কার্যত কোণঠাসা করে ফেলে বন দফতর৷ শেষ পর্যন্ত গত রবিবার ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু হয় বাঘিনী৷ রবিবার রাতেই বাঁকুড়া থেকে গ্রিন করিডর করে আলিপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয় জিনাতকে৷ ঘুমপাড়ানি গুলির প্রভাব কাটার পর স্বাভাবিক খাওয়া দাওয়াও শুরু করে সে৷ আলিপুর চিড়িয়াখানার পশু হাসপাতালের চিকিৎসকদের পাশাপাশি রেডিও কলারের মাধ্যমে জিনাতের উপরে নজর রাখছিলেন ওড়িশার সিমলিপাল জাতীয় উদ্যানের বিশেষজ্ঞ পশু চিকিৎসকরাও৷ শেষ পর্যন্ত শারীরিক অবস্থায় সেরকম কোনও সমস্যা না থাকায় মঙ্গলবার রাতেই জিনাতকে নিয়ে সিমলিপালের দিকে রওনা দেয় ওড়িশার বন দফতরের একটি দল৷