দেশ

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় বিরোধীদের বিক্ষোভে শুরুতেই উত্তপ্ত বাদল অধিবেশন

বাদল অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত লোকসভা ৷ বিক্ষোভের জেরে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের বক্তব্য পুরোটাই পেশ করতেই পারেননি ৷ তাই বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি ৷ প্রথামাফিক এদিন প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারে অন্তর্ভুক্ত নতুন মন্ত্রীদের পরিচয় করাতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু মোদি ভাষণ শুরু করার আগেই গোলমাল শুরু হয়ে যায় ৷ বিরোধীরা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৷ অনেককে ওয়েলে নেমে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভও দেখাতে দেখা যায় ৷ যা দেখে প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন ৷ তিনি জানান, এবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদে সবচেয়ে বেশি মহিলা, দলিত, পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষ, কৃষকের সন্তান, ওবিসিদের থেকেও মন্ত্রী করা হয়েছে ৷ মোদির বক্তব্য যে তিনি ভেবেছিলেন যে মন্ত্রী পরিষদে এত মহিলা, দলিত, পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষ দেখে বিরোধীরা খুশি হবেন ৷ নতুন মন্ত্রীদের স্বাগত জানাতে চান ৷ তাই তাঁর মনে হয় যে এঁরা মন্ত্রী হওয়ায় কেউ কেউ হয়তো খুশি নয় ৷ তাই তাঁদের স্বাগত জানাতে দিতে চায় না বিরোধীরা ৷ বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে শেষপর্যন্ত কারও পরিচয় না করিয়ে লোকসভায় নতুন মন্ত্রীদের নাম না শুনিয়ে বসে পড়েন প্রধানমন্ত্রী ৷ তার পরও কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলে ৷ কিন্তু অধ্যক্ষ ওম বিড়লা শোকপ্রস্তাব পাঠ করা শুরু করতেই বিরোধীদের বিক্ষোভ থেমে যায় ৷ কিন্তু শোকপ্রস্তাব শেষ হতেই ফের শুরু হয় বিক্ষোভ হয় ৷ সেই বিক্ষোভের মাঝেই বলতে ওঠেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ তিনি বিরোধীদের এই বিক্ষোভের কড়া সমালোচনা করেন ৷ এই ঘটনাকে অস্বাস্থ্যকর বলে দাবি করেন ৷ রাজনাথের বক্তব্য শেষ হতেই অধ্যক্ষ প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু করেন ৷ কিন্তু বিরোধীদের বিক্ষোভ চলতেই থাকে ৷ ফলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সভা মুলতবি করে দেন অধ্যক্ষ ৷ পরে রাজ্যসভাতেও মন্ত্রীদের পরিচয় করানোর সময়ও একই ঘটনা ঘটে ৷ এক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথামাফিক মন্ত্রীদের পরিচয় করিয়ে দিতে রাজ্যসভায় যখন বলতে ওঠেন, তখনই বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ৷ ফলে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের পরিচয় করাতে পারেননি ৷ লোকসভার মতো এখানেও নতুন মন্ত্রীদের নাম না শুনিয়ে বসে পড়েন প্রধানমন্ত্রী ৷