ওটিপি ডিজিটাল যুগের রক্ষাকবচ । তবে এই ডিজিটাল পরিষেবা জালিয়াতি থেকে আদৌ রক্ষা পাচ্ছে কিনা, তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। বিভিন্ন থানায় দায়ের হচ্ছিল একের পর এক প্রতারণার অভিযোগ। সে সবে ইতি টানতে পদক্ষেপ লালবাজারের. রাশ টানতে দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে লালবাজার। চলছে সচেতনতার কাজ। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি। ডিজিটাল যুগে কমছে ব্যাঙ্কে যাওয়ার প্রবণতা। ব্যাঙ্কের কাজের ক্ষেত্রে নির্ভরশীলতা বাড়াছে অনলাইন ব্যাঙ্কিং বা নেট ব্যাঙ্কিং। আর তাকে হাতিয়ার করেই বাড়ছে চুরি, জালিয়াতি। ভার্চুয়াল মাধ্যমে নানাভাবে চুরি যাচ্ছে টাকা। রক্ষাকবচ ওটিপি বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড। তবে তা কতটা সুরক্ষিত তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। বিভিন্ন থানায় দায়ের হচ্ছে একের পর এক অভিযোগ। আর সে সবে ইতি টানতেই এবার গ্রাহকদের দরজায় লালবাজার। চলছে সচেতনতার কাজ। এর আগেও প্রাথমিক সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়েছে কলকাতা পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগ। কিন্তু গোয়েন্দা প্রধানের দাবি, লকডাউনে ৫০% শতাংশ বেড়ে গিয়েছে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি। তাই আবার বিদায়ী কমিশনার অনুজ শর্মার উদ্যোগে নতুন মিশন রক্ষা কবচ। ব্যাঙ্ক জালিয়াতি থেকে বাঁচার জন্য শহরের বিভিন্ন বড় আবাসনগুলিতে ঘুরে ঘুরে মানুষকে সচেতন করার দায়িত্ব নিয়েছে কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ব্যাঙ্ক জালিয়াতি বিভাগ। গত ২৯ জানুয়ারী মাসিক ক্রাইম মিটিংয়ে অনুজ শর্মা প্রকল্পটির ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন। প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত করতে শনিবার থেকেই শুরু হয় কাজ। এদিন পার্কস্ট্রিটের মিডলটন অ্যাপার্টমেন্ট, সাউথ সিটি হাউসিং কমপ্লেক্স, ইএম বাইপাসের অভিষিক্তা হাউসিং কমপ্লেক্সের মতো পাঁচটি আবাসনে শুরু হয় সচেতনতা। সংশ্লিষ্ট থানা ও বিভাগীয় ডিসিদের নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছায় লালবাজার অ্যান্টি জালিয়াতি বিভাগ। শোনা হয় যাবতীয় সমস্যার কথা। বাতলে দেওয়া হয় সমাধানের উপায়ও। তাঁদের সমস্যাগুলি লালবাজারের সংশ্লিষ্ট ই মেলে মেল করলেই অবিলম্বে ব্যবস্থা নেবে লালবাজার।